
কলকাতা: নজিরবিহীন নিরাপত্তা বিধানসভায়। সরব বিজেপি। গাড়ির ডিকি খুলে-খুলে উঁকি। বাদ যাচ্ছেন না কোনও দলেরই কোনও বিধায়ক। বিজেপির দাবি, প্রতিবাদ করতে দেওয়া হবে না বলে এত কড়াকড়ি। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের প্রশ্ন, তুলসী গাছ নিয়ে বিধানসভার ভিতরে যাতে কেউ না ঢুকতে পারে সেই কারণে কি এত তল্লাশি? তিনি বলেন, “আমাদের গাড়ি চেক করা হলে, মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িও চেক করা হোক।”
আজ শুক্রবার বিধানসভায় দেখায় যায় দলমত নির্বিশেষে সকলের গাড়িতেই তল্লাশি চলছে। তা সে বিজেপি হোক বা তৃণমূল, প্রত্যেক বিধায়কের গাড়িতেই লাগাতার তল্লাশি চলে। দেখা যায়, যে গাড়ি বিধানসভায় ঢুকছে তা আগে গেটের সামনে দাঁড়াচ্ছে। তারপর চেকিং হচ্ছে। এরপর সেটি ভিতরে ঢুকছে। অগ্নিমিত্রা বলেন, “বিজেপির বিধায়কদের গাড়ি চেক করা হচ্ছে। হয়ত তৃণমূলের বিধায়কদেরও গাড়ি চেক করা হবে। আর যদি নিরাপত্তার বিষয় থাকত তাহলে অধিবেশন শুরুর দিন থেকে করত। আজ কেন করল। কারণ, গতকাল আমরা তুলসী নিয়ে প্রতিবাদ করেছি। তাই কোনওভাবেই যাতেই আমরা প্রতিবাদ না করি সেই জন্যই এমনটা করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বিধানসভার ভিতরে ঢোকে, বিরোধী দলনেতার গাড়ি ঢোকে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িও চেক হবে তবেই আমরা গাড়ির তল্লাশি করতে দেব।”
এবার এই তল্লাশি নিয়েই রাজনীতি বল গড়ায়। বিজেপি সরাসরি অভিযোগ করছে, যাতে তুলসী গাছ নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেই জন্যই এই চেকিং। যদিও, বিধানসভা কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই এই তল্লাশি করা হয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে সেই কারণেই তল্লাশি। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিরাপত্তরাক্ষীকে পরিষ্কার অনুমতি দেওয়া হয়েছে তল্লাশির জন্য। কে কী নিয়ে আসছেন তা তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়, যাঁরা গেটের দারোয়ান রয়েছেন তাঁরাই চেক করবেন। এটা নিরাপত্তার বিষয়। তাই আমরা চাই না এমন কিছু ঘটুক যাতে বিধানসভার কাজ ব্য়হত হয়।” উল্লেখ্য, মহেশতলা-কাণ্ডের প্রতিবাদে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তুলসী গাছ মাথায় নিয়ে প্রতিবাদ করেন। গতকাল বিধানসভার অন্দরেও রবীন্দ্রনগরের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। এরপর আজ তল্লাশি। রাজনৈতিক মহলের ধারণা গোটা বিষয়টিকে দু’য়ে দু’য়ে চার করছেন বিজেপি বিধায়করা।