কলকাতা : রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপরে ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল অনেক সময় বিলে সই করা ঘিরে রাজ্য বিধানসভার সঙ্গে অসহযোগিতা করেন বলেন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর ফলে যে বিধানসভা এবং রাজভবনের সমন্বয়ের সমস্যা হয়, সেই কথাও স্পষ্ট করে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
আজ বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সংবিধান দিবসের ওই অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যাঁরা বিধায়ক নির্বাচিত হই, তাঁদের সংবিধান জানা উচিত। সম্যক ধারণা থাকা উচিত। রাজ্যপাল ও বিধানসভা পৃথক পৃথক সংস্থা। তাদের সম্বনয় রেখে এগোনো উচিত। তাহলেই এগোনো যায়। আমাদের কাজ কী কী, তা স্পষ্ট করে বলা আছে সংবিধানে। সেভাবেই এগোনো উচিত। বিলে যেন দ্রুত গতিতে সম্মতি দেন রাজ্য পাল। দেশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিও করবেন।”
রাজ্য সরকার চায় ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ায় একসঙ্গে পুরভোট করাতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেখানে কেবলমাত্র কলকাতার কথাই উল্লেখ রয়েছে। হাওড়ায় কবে ভোট সে সংক্রান্ত কোনও তথ্যই কমিশনের তরফে জানানো হয়নি। কমিশনের দাবি, রাজ্যের তরফে এখনও হাওড়ার ভোট নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য আসেনি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের জন্যই হাওড়ায় ভোট পিছিয়ে যাচ্ছে।
হাওড়া পুর সংশোধনী বিল ২০১২ নিয়ে রাজ্যপাল সন্তুষ্ট নন বলেই জানা গিয়েছে। সেই বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। আপত্তি তুলে তিনি সেই সংশোধনী বিল ফেরত পাঠানোর হাওড়ার পুরভোট নিয়ে একটা জটিলতা রয়ে গিয়েছে। এদিকে পুর আইন মোতাবেক, যেদিন ভোট তার ২৪ থেকে ২৭ দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। এর মধ্যে রবিবার ও সরকারি ছুটি থাকলে সেদিনগুলি বাদ থাকবে। সে ক্ষেত্রে ১৯ ডিসেম্বর ভোট করতে হলে বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা প্রয়োজন ছিল। সে সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তেমনটাই বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
পুরভোট নিয়ে সংঘাতের পথে রাজভবন। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবারই হয় বৈঠক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না, তাদের কথা মতো চললেও হবে না- কড়া ভাষায় সর্তক করে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সৌরভ দাস। সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা ও হাওড়া নয়, রাজ্যপাল অনান্য পুরসভাতেও একইসঙ্গে নির্বাচন চাইছেন।
রাজ্যপালের সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, কেবল কলকাতা ও হাওড়াতেই কেন পুরভোট? বাকি পুরসভাগুলিতে কেন ভোট হবে না? সব পুরসভাগুলিতেই একই সঙ্গে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপরই দুটো টুইট করেন। দ্বিতীয় টুইটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, পুরভোটের ক্ষেত্রে তাঁর কী কী কর্তব্য। বৈঠকের পর একটি চিঠি কমিশনকে পাঠানো হয় রাজ্যপালের তরফে।
দেখুন ভিডিয়ো :
কলকাতা : রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপরে ক্ষুব্ধ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল অনেক সময় বিলে সই করা ঘিরে রাজ্য বিধানসভার সঙ্গে অসহযোগিতা করেন বলেন ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর ফলে যে বিধানসভা এবং রাজভবনের সমন্বয়ের সমস্যা হয়, সেই কথাও স্পষ্ট করে দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
আজ বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সংবিধান দিবসের ওই অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যাঁরা বিধায়ক নির্বাচিত হই, তাঁদের সংবিধান জানা উচিত। সম্যক ধারণা থাকা উচিত। রাজ্যপাল ও বিধানসভা পৃথক পৃথক সংস্থা। তাদের সম্বনয় রেখে এগোনো উচিত। তাহলেই এগোনো যায়। আমাদের কাজ কী কী, তা স্পষ্ট করে বলা আছে সংবিধানে। সেভাবেই এগোনো উচিত। বিলে যেন দ্রুত গতিতে সম্মতি দেন রাজ্য পাল। দেশের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিও করবেন।”
রাজ্য সরকার চায় ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়ায় একসঙ্গে পুরভোট করাতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেখানে কেবলমাত্র কলকাতার কথাই উল্লেখ রয়েছে। হাওড়ায় কবে ভোট সে সংক্রান্ত কোনও তথ্যই কমিশনের তরফে জানানো হয়নি। কমিশনের দাবি, রাজ্যের তরফে এখনও হাওড়ার ভোট নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্য আসেনি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের জন্যই হাওড়ায় ভোট পিছিয়ে যাচ্ছে।
হাওড়া পুর সংশোধনী বিল ২০১২ নিয়ে রাজ্যপাল সন্তুষ্ট নন বলেই জানা গিয়েছে। সেই বিলে এখনও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল। আপত্তি তুলে তিনি সেই সংশোধনী বিল ফেরত পাঠানোর হাওড়ার পুরভোট নিয়ে একটা জটিলতা রয়ে গিয়েছে। এদিকে পুর আইন মোতাবেক, যেদিন ভোট তার ২৪ থেকে ২৭ দিনের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। এর মধ্যে রবিবার ও সরকারি ছুটি থাকলে সেদিনগুলি বাদ থাকবে। সে ক্ষেত্রে ১৯ ডিসেম্বর ভোট করতে হলে বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা প্রয়োজন ছিল। সে সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তেমনটাই বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
পুরভোট নিয়ে সংঘাতের পথে রাজভবন। কমিশনকে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবারই হয় বৈঠক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে, রাজ্য সরকারের শাখা হিসাবে কাজ করলে চলবে না, তাদের কথা মতো চললেও হবে না- কড়া ভাষায় সর্তক করে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সৌরভ দাস। সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা ও হাওড়া নয়, রাজ্যপাল অনান্য পুরসভাতেও একইসঙ্গে নির্বাচন চাইছেন।
রাজ্যপালের সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, কেবল কলকাতা ও হাওড়াতেই কেন পুরভোট? বাকি পুরসভাগুলিতে কেন ভোট হবে না? সব পুরসভাগুলিতেই একই সঙ্গে ভোট করানোর দাবি জানিয়েছেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপরই দুটো টুইট করেন। দ্বিতীয় টুইটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, পুরভোটের ক্ষেত্রে তাঁর কী কী কর্তব্য। বৈঠকের পর একটি চিঠি কমিশনকে পাঠানো হয় রাজ্যপালের তরফে।
দেখুন ভিডিয়ো :