Bantala Fire: ম্যানেজার বলেছিল বুধবার বকেয়া টাকা দেবে, বানতলার সেই কারখানার শ্রমিকদের কপালে হাত…
Bantala Fire: বাড়ি যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টাকা নেই অধিকাংশের কাছেই। তাঁরা কেউ থাকেন মালদহে, কারও বাড়ি মুর্শিদাবাদ বা বীরভূম।
কলকাতা: বানতলার চর্মনগরীতে (Bantala Leather Complex) ভয়াবহ আগুন লাগে কালীপুজোর দুপুরে। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বিভাগ। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তায় বসে কারখানার শ্রমিকরা। তাঁদের কথায়, এখনও বেতন পাননি হাতে। বাড়ি ফিরবেন কি নিয়ে? একইসঙ্গ প্রশ্ন, আদৌ পাবেন কি বকেয়া বেতন?
শনিবার ছিল পেমেন্ট ডে। অর্থাৎ এইদিন টাকা পাওয়ার কথা ছিল বানতলার চর্মনগরীতে পুড়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের। কিন্তু মালিকপক্ষ বলেছিল, কালীপুজোর পর বুধবার সেই টাকা দেবে। এদিকে দীপাবলির দুপুরে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায় কারখানা। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। ক্ষতি হয়েছে অধিকাংশ জিনিসেরই।
শ্রমিকরা ভিন জেলা থেকে কাজ করতে আসেন এখানে। এখানেই থাকেন। তাই পোশাকআশাক থেকে শুরু করে মাথা গোঁজার যা যৎসামান্য কিছু জিনিস, তা এখানেই রাখেন। আগুনে পুড়েছে বেশিরভাগই। যেটুকু রক্ষা পেয়েছে তা নিয়ে এদিন কারখানার সামনে রাস্তায় বসে পড়েন কারখানার ৫০ জন শ্রমিক।
বাড়ি যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টাকা নেই অধিকাংশের কাছেই। তাঁরা কেউ থাকেন মালদহে, কারও বাড়ি মুর্শিদাবাদ বা বীরভূম। মাসের পর মাস এই কারখানায় থেকেই কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, সোমবার আগুন লাগার পর থেকে মালিক পক্ষের তরফে একবারও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ পর্যন্ত করা হয়নি। এখন সংশয়, টাকাগুলো আদৌ পাবেন কি না।
এক শ্রমিক বলেন, “দুপুরে যখন আগুন লাগে আমরা শুয়েছিলাম। যে যে অবস্থায় ছিলাম ছুটে বেরিয়ে আসি। কেউ কেউ তো গায়ের জামাটুকুও নিয়ে আসতে পারেনি। অথচ কর্তৃপক্ষ একবারও আমাদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা করল না। খাবার খরচ, রাতে কোথায় থাকব কী হবে কিছুই বলেনি। জল কিনে খাওয়ার মতো টাকা নেই। শনিবার পয়সা দেওয়ার কথা ছিল। সেটাও দিল না। ম্যানেজার বলল বুধবার পাবি। পাব কি না কে জানে?”
আরেক শ্রমিক জানালেন, ম্যানেজার ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন বাড়ি চলে যেতে। এভাবে যাওয়া যায়? ম্যানেজার তো একবার আসতে পারতেন! জামা কাপড়ও এদিন সকালে আনতে সমস্যা হচ্ছিল বলে জানান তাঁরা। যেহেতু কুলিং চলছিল, পকেট ফায়ার নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাই শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি প্রথমে। পরে অবশ্য ভিতর থেকে জিনিসপত্র আনার অনুমতি পান তাঁরা।