Bidhannagar Case: ঘর থেকে বেরোল জলজ্যান্ত যুবক, দু’টো বাড়ির পরই মিলল রক্তাক্ত দেহ
Body Recover: এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তপন। তারপরই এই খবর আসে।
কলকাতা: বাড়ির থেকে কিছু দূরেই রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল যুবকের। এই ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেধেছে বিধাননগর পূর্ব থানা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে বাড়ির অদূরে রাস্তায় রক্তাক্ত তপন দাসকে (৪৫) পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার লোকজন। চেনা মুখ দেখে খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। পাশাপাশি থানাতেও জানান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসেই মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিধাননগর হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, তপন দাসের বাড়ি এসএ ব্লকে। বাড়ির নম্বর ১১০। এদিকে দেহটি পড়েছিল ১০৭ নম্বর বাড়ির সামনে। নিছক পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি অন্য কিছু এর পিছনে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তপন। তারপরই এই খবর আসে। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন ওই যুবক। কিন্তু এই মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তপন দাসের দাদা স্বপন দাস বলেন, “তপন আমার ছোট ভাই। রোজকার মত শনিবারও প্রাঃভ্রমণে বেরিয়েছিল। ওর শরীরে কিছু সমস্যা ছিল। শুনছি হঠাৎ মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে যায়। পাথরে মাথায় চোট লেগে রক্ত বমি হয়। আমরা বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা বলেন মারা গিয়েছে ভাই। আমরা থানাতেও বিষয়টি জানিয়েছি। এনওসি নিয়ে আরজিকরে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।”
স্থানীয় বাসিন্দা অলোক সরকারের কথায়, “এসে দেখি পাড়ার ছেলেটা পড়ে আছে। যতদূর দেখলাম ওর মুখের পাশে রক্ত জমে গিয়েছে। রাস্তাতেও রক্ত পড়েছিল। আমার মনে হয় পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স সবই এসেছিল। দেখলাম ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: Bagtui Massacre: পোড়া রক্ত, পোড়া মাংসের মাঝেই বগটুইয়ে প্রমাণ খুঁজছে সিবিআই, নজরে আট প্রশ্ন…
আরও পড়ুন: Ghatal Case: ছাদনাতলা থেকে মেয়েকে টেনে তুলে নিয়ে দৌড় মা-বাবার, ফেঁসে গেলে দাদু, মেসো