কলকাতা: কেন্দ্রের পরিদর্শক দল আসবে, তার আগে প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে বিস্ফোরক টুইট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় দল আসবে, তাই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY G) লোগো বিভিন্ন দেওয়ালে লাগানোর কাজ শুরু করেছেন বিডিওরা। জেলাশাসকরা সেই নির্দেশ দিয়েছেন। টাকার জন্যই এমনটা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। খবর না দিয়ে আচমকাই যাতে বিভিন্ন ব্লকে কেন্দ্রীয় দল হানা দেয়, তার জন্য আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। বিডিওরা কেন্দ্রীয় টিমকে ভুল পথে চালিত করতে পারেন বলে আশঙ্কা তাঁর। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এখনই এ রাজ্যের আবাস যোজনার আসল ছবি উঠে আসার সুযোগ রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় দল আসার খবর পেয়েই বিভিন্ন দেওয়ালে নাম বদল আর লোগো ব্যবহার করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার।
This urgent instruction has been sent to the BDOs (Block Development Officers) by the District Magistrates to affix the “Rightful” name & logo on the PMAY (Pradhan Mantri Awas Yojana) houses before the Central Inspection Team visits for survey.
Even the logo has been shared: pic.twitter.com/rdZNarQISh— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 25, 2022
শুভেন্দু তাঁর টুইটে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের একটি চিঠিতেই মাননীয়ার দর্প কুপোকাত। চিঠিতে রাজ্য সরকারকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয় যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন করলে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ। প্রকল্পের নাম বদল করা হয়েছে কি না তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনের জন্য পাঠানো হবে। ব্যস অমনি বেলুন চুপসে গেছে। বাংলা আবাস যোজনা নামক প্রকল্প হাওয়ায় উবে গেল। তড়িঘড়ি ডিএম সাহেবদের নির্দেশ বিডিওদের যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পরিদর্শনের জন্য পৌঁছানোর আগে যেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY) বাড়িগুলিতে সঠিক নাম ও লোগো ব্যবহার করতে হবে। এমনকী লোগোর ডিজাইন ও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতারাতি নাম পাল্টানোর জন্য প্রশাসন এখন উঠেপড়ে লেগেছে।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, ‘আমি কেন্দ্রীর পর্যবেক্ষক দলের কাছে অনুরোধ জানাব, তারা যখন তদন্তে যাবেন, তখন যেন নিজেরাই ঠিক করে নেন যে কোন কোন বাড়িগুলি পরিদর্শন করবেন। কারণ বিডিও সাহেবরা হয়তো আগে থেকে ঠিক করে রাখা বাড়িগুলি, যেখানে নাম বদলে দেওয়া হয়েছে এবং বাড়িওয়ালাদের শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কি বলতে হবে, এমন জায়গাতেই বেছে বেছে নিয়ে যাবেন।’ যদি এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য, সমস্তটাই বাংলা বিরোধিতার বহিঃপ্রকাশ। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। বিজেপি যদি বাংলার ভাল চাইত, ওদের উচিৎ ছিল দিল্লিতে বাংলার জন্য দরবার করা। কিন্তু সেটা না করে খবরে ভেসে থাকার জন্য এসব বলছে।