Bagtui Massacre: ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক গণহত্যা’! শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি
Rampurhat Murder: রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, "পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই গণহত্যা করা হয়েছে।"
কলকাতা : রামপুরহাট হত্যাকান্ডে (Bagtui Massacre) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করছে বঙ্গ বিজেপি। মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে বুধবারই কলকাতা থেকে রামপুরহাট গিয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। আলাদাভাবে রামপুরহাট গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিকে কলকাতা সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়ালেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, “পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই গণহত্যা করা হয়েছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী ও ছোট নেতারা ষড়যন্ত্র খুঁজে দেখছেন। দূর দূরে কোনও বিরোধী নেই। গোটা গ্রাম পালিয়েছেন, এখন চক্রান্ত তত্ত্ব তুলে দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছে। এই ঘটনার পরও পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তা বললেন, রাজনৈতিক ঘটনা নয়। ক্যাবিনেট মন্ত্রী বলছেন, ‘আমাদের কর্মী খুন মানে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’। আমরা বলছি, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক গণহত্যা।”
উল্লেখ্য, বিজেপি বিধায়কদের বাস রামপুরহাট যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে দাঁড়ানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদ্রুপ করে বলেছেন, “কিছু দল ল্যাংচা খেতে খেতে ঢুকছেন ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। বললেন, “ভয়াবহ গণহত্যার পর মুখ্যমন্ত্রী সরব হননি। নীরব ছিলেন। কে কী খাবেন, তা কি সরকার ঠিক করে দেবে? তৃণমূল ঠিক করে দেবে? কারও খিদে পেলে কী করবেন তিনি? সেখানে খাবার কী খাবেন তাও মুখ্যমন্ত্রী বলবেন? ল্যাংচার বদলে চপ খেলে বোধ হয় কথা উঠত না। কারণ চপ শিল্পের আহ্বান তো মুখ্যমন্ত্রীর।”
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, মৃতদের পরিবারের অনুপস্থিতিতেই দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেও বুধবার রাজ্য প্রশাসনকে এক হাত নিলেন শমীক ভট্টাচার্য। বললেন,”পরিবারের মানুষের অনুপস্থিতিতে কীভাবে শেষ কৃত্য! তদন্ত শুরুর আগে সুর বাঁধা হচ্ছে। সবাই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তুলছেন। পুলিশ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করছে। সময় যত যাবে, প্রত্যক্ষদর্শীরা সামনে এলে সব তথ্য উঠে আসবে।”