
কলকাতা: অবশেষে ক্যাবিনেটে পাশ হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি। রাজ্য মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকেই এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পেশ করা হবে বলে খবর। মন্ত্রিসভা থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে, তবেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। উল্লেখ্য, এই নিয়োগ বিধি এসএসসির তরফে প্রস্তাব করা হয়েছিল অনেকদিন আগেই। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও লাল ফিতের বাঁধনে আটকে ছিল কমিশনের প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনে শেষ নিয়োগ হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর থেকে গত চার বছরে আর কোনও নিয়োগ হয়নি। এদিকে প্রতি বছরই বাড়ছে বিএড প্রশিক্ষিতদের সংখ্যা। গত চার বছরের হিসেব কষলে দেখা যাবে, বিএড প্রশিক্ষতদের সংখ্যা নয় নয় করে প্রায় দেড় লাখেরও বেশি। সেক্ষেত্রে এই বিপুল সংখ্যক বাড়িতে বসে থাকা বিএড প্রশিক্ষিতদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েই ইতিমধ্যে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
কারণ, এখন পর্যন্ত সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলে প্রথমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হবে। তাহলে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য আরও কতদিন অপেক্ষা করতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক মহলে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলছেন, “আমি শুনেছি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের যে বিষয়টি পাঠানো হয়েছিল, সেটি অনুমোদনের একেবারে দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশক্রমে স্পেশাল এডুকেটরদের ব্যাপারে হয়ত একটি বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে নিয়োগের উদ্যোগ শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে নেওয়া হচ্ছে। বিধি এসে গেলে প্রক্রিয়া শুরু করতে আমাদের এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানাচ্ছেন, “আমার মনে হচ্ছে, এই প্রস্তাবটি আগামী ক্যাবিনেট বৈঠকে পাশ হয়ে যাবে। তারপর এসএসসি ঠিক করবে, তারা কবে থেকে এটি কার্যকর করবে।”
স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রস্তাবিত এই নতুন নিয়োগ বিধিতে বেশ কিছু বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, অ্যাকাডেমিকসকে আর গুরুত্ব দেওয়া হবে না। এর পাশাপাশি ওএমআর শিটেই পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কাউন্সেলিং ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ইন্টারভিউও নিখুঁতভাবে করার বিষয়ে আগ্রহী কমিশন।