কলকাতা: রাঙামাটি শ্মশানের জমি কেলেঙ্কারি মামলায় রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল সৌমেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়। গ্রেফতারির মতো কড়া পদক্ষেপের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে হাইকোর্ট।
কী এই রাঙামাটি শ্মশান দুর্নীতি? সূত্রের খবর, কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশানের বাস্তুর চরিত্র বদল করে শ্মশানের জমিতে স্টল তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে অভিযোগ, সেই স্টল লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। কিন্তু সেই টাকা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। দুর্নীতিতে নাম জড়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর।
কাঁথি পুরসভার যিনি বর্তমান পুরপ্রধান, সেই সুবল মান্না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সুবল মান্নার অভিযোগ ছিল, যে সময় এই দুর্নীতি হয়, সে সময় কাঁথি পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম জড়ায় সহকারি ইঞ্জিনিয়ার দিলীপকুমার বেরা, ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারীর। কাঁথি পুলিশ তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দিলীপকুমার বেরা ও সতীনাথ দাস অধিকারীকে গ্রেফতারও করে। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু অধিকারী। আদালতে তিনি জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে চক্রান্তের জালে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। এরপরই আদালতে রক্ষাকবচ চান তিনি।
আদালত তাঁকে রক্ষাকবচও দেয়। ১৩ জুলাই অবধি সেই রক্ষাকবচ ছিল। আদালত জানিয়েছিল, এই সময়ের মধ্যে পুলিশ চাইলে সৌমেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। তবে গ্রেফতার করা যাবে না। যদিও গত এক সপ্তাহে রাঙামাটি শ্মশান দুর্নীতি মামলায় নতুন নতুন মোড় দেখা গিয়েছে। গোপাল সিং নামে এক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই গোপাল এক সময় সৌমেন্দুর গাড়ির চালক ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সোমবারই শ্মশান দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যহতি নিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ান তিনি।