কলকাতা: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। শুক্রবার সেই মামলা খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন জানায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে (Governor Jagdeep Dhankhar) রক্ষাকবচ দিয়েছে সংবিধান। সংবিধানের ৩৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালকে নোটিস দেওয়া যায় না। আদালতের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নন রাজ্যপাল। তাই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিল আদালত। মূলত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর বক্তব্য ছিল, রাজ্যপাল সংবিধানের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। অন্যান্য কাজের থেকে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় তাঁর বেশি আগ্রহ। এদিন আদালত সেই মামলাই খারিজ করে দিয়েছে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাটি করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। তাঁর বক্তব্য ছিল, এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে সরকারি কাজে বাধা দিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত কাজ করছেন বলেও আদালতে জানান মামলাকারী। মামলাকারীর মতে, যিনি রাজ্যপাল পদে বসেন তাঁর একটা আলাদা গাম্ভীর্য, ঔদার্য থাকা প্রয়োজন। এই পদটি অত্যন্ত সম্মানীয়। সেই পদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া উচিৎ। তবে আদালত আগেই জানিয়েছিল, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। শুক্রবার আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলা খারিজ করা হল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে সংসদে স্বতন্ত্র প্রস্তাবও আনা হয়। আপাতত এই স্বতন্ত্র প্রস্তাব নিয়ে এগোনোর জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সম্মতি প্রয়োজন। তিনি যদি এতে সম্মতি দেন তারপরই এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে। এই চিঠির মুখ্য বিষয়ই হল, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে যেন ফিরিয়ে নেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতিই যেহেতু এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, তাই চিঠিতে তাঁর কাছেই সে আবেদন জানানো হয়েছে।
বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে রাজ্য প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এরপর থেকেই আরও জোরাল হয় রাজ্য রাজভবন দ্বৈরথ। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “রাজ্যপালের ভূমিকা ভয়ঙ্কর জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমাদের প্রতি মুহূর্তে এটাই মনে হচ্ছে, ওনাকে নির্দেশ দিয়ে পাঠানোই হয়েছে রাজ্য সরকারকে বিব্রত করার জন্য।”
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Municipal Elections: রাস্তায় পড়ে তৃণমূলের পতাকা, তুলে যথাস্থানে রাখলেন বিজেপি সাংসদ