Jhalda Municipality: আদালতের নির্দেশে আবারও ঝালদার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই

Purulia News: ১২টি আসন রয়েছে ঝালদা পুরসভায়। পুরভোটে কংগ্রেস ৫টি আসন পায়, তৃণমূল পায় ৫টি। বাকি ২টি দুই নির্দল প্রার্থী জেতেন।

Jhalda Municipality: আদালতের নির্দেশে আবারও ঝালদার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই
শীলা চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2023 | 3:52 PM

কলকাতা: একটা পুরসভার চেয়ারম্যান পদে কে থাকবেন আর বোর্ডটাই বা কে চালাবে তা নিয়ে এমন আইনি জটিলতা এর আগে বোধহয় দেখা যায়নি। পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা প্রতি পদে নতুন নতুন মোড় দেখাচ্ছে। ফের ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) মামলায় আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, চেয়ারম্যান পদে ফের বহাল করতে হবে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতের একক বেঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকবেন শীলা চট্টোপাধ্যায়ই, বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে মহকুমাশাসক শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই রাজ্যের তরফে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসাবে সুদীপ কর্মকারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে এই অপসারণ বেআইনি দাবি তুলে আদালতে যায় কংগ্রেস।

গত ২০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। একইসঙ্গে সুদীপ কর্মকারকে নতুন চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তের উপরও স্থগিতাদেশ বহাল রাখা হয়। আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণিমা কান্দুকে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে যায়।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের মনোনীত চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারের অপসারণে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, শীলা চট্টোপাধ্যায়ের প্রার্থীপদ খারিজে মহকুমাশাসকের নির্দেশিকার উপরও বহাল থাকবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। শুধু তাই নয়, মূল মামলা একক বেঞ্চে ফেরতও পাঠিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।

ঝালদা পুরসভায় ১২টি ওয়ার্ড। গত পুরভোটে কংগ্রেস ও তৃণমূল ৫টি করে আসন পায়। বাকি ২ আসন জেতেন নির্দলের শীলা চট্টোপাধ্যায় ও সোমনাথ কর্মকার। এই দুই নির্দলের সমর্থনে প্রথমে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। যদিও পরে একে একে সোমনাথ ও শীলা সেই সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। এরপর সেই বোর্ডে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ যোগ দেন কংগ্রেসে। তবে শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলেই থেকে ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে ওঠেন ঝালদা পুরসভার। কংগ্রেস তাঁকে চেয়ারপার্সন করার কথা ঘোষণা করে। পাল্টা বোর্ড গঠনে সমর্থন করেন শীলাও।

তবে এরমধ্যে নতুন মোড় নেয় ঝালদা পুরসভার ভবিষ্যৎ। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়াল একটি পিটিশন দাখিল করে মহকুমাশাসককে জানান, শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দলে জিতলেও তৃণমূলে যোগ দেন। এখন তিনি আবার কংগ্রেসে সমর্থন করছেন। তাই তাঁর কাউন্সিলর পদ প্রশ্নসাপেক্ষ বলে দাবি করেন সুরেশ আগরওয়াল। মহকুমাশাসকের দফতরে শুনানি হয়। শীলার কাউন্সিলর পদ বাতিলও ঘোষণা করেন তিনি। এরপর আবারও নতুন করে মামলা। পাল্টা মামলা।