CBI SIT: ফাইলও ছুঁতে পারবেন না, তদন্তকারী সিবিআই অফিসারকে সরিয়ে দিয়ে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

HC: প্রাথমিক নিয়োগের দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের মামলায় সিবিআইয়ের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট তৈরি করা হয়।

CBI SIT: ফাইলও ছুঁতে পারবেন না, তদন্তকারী সিবিআই অফিসারকে সরিয়ে দিয়ে বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় নির্দেশ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2023 | 3:06 PM

কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সিটের (CBI SIT) তদন্তকারী অফিসারের কাজে তীব্র অসন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআই সিট থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তদন্তকারী অফিসারকে। সিবিআই তদন্তকারী অফিসার সোমনাথ বিশ্বাসকে মঙ্গলবার সিবিআইয়ের সিট থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কড়া নির্দেশ, তদন্তের কোনও কাজে যেন সোমনাথ বিশ্বাস যুক্ত না থাকেন। কোনও ফাইলও যেন তিনি না ধরেন, সে নির্দেশও দেয় আদালত। ডিআইজি পদক্ষেপ করবে বলেও জানায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগের দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের মামলায় সিবিআইয়ের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট তৈরি করা হয়। সেই সিটেরই সদস্য সোমনাথ বিশ্বাস। এর আগেও সিবিআইয়ের তদন্তের গতি নিয়ে একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

পরবর্তীকালে আবার যাঁরা সিবিআইয়ের অফিসার রয়েছেন, তাঁদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে। এদিনই বেলা ২টোর মধ্যে নতুন তদন্তকারী অফিসারের নাম জানাতে বলা হয় সিবিআইকে। যদিও নতুন তদন্তকারী অফিসারের নাম দেওয়ার জন্য সময় চান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সেই আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে বুধবারের মধ্যে নতুন নাম জানাতে হবে সিবিআইকে।

তবে মঙ্গলবার এই বিচারপতির এই অসন্তোষের কারণ, সিবিআইকে যে রিপোর্ট আনতে বলা হয়েছিল, সেই রিপোর্টে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন বিচারপতি। সেই রিপোর্ট আদালতে সময়মতো জমা পড়েনি বলেই আদালত সূত্রের খবর। সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এর ব্যাখ্যাও দেন। জানান, তাঁদের কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় তদন্তের জন্য আরও কিছুটা সময় তাঁরা চান। এই জন্যই সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি। সিবিআই এই রিপোর্টের জন্য ন্যূনতম এক সপ্তাহ সময় চান। এতেই অত্যন্ত বিরক্ত হন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, এই সিটে যিনি আছেন, তাঁকে সরে যেতে হচ্ছে। বেলা ২টোর সময় নতুন অফিসারকে নিয়ে আসতে হবে।

এর আগেও সিটের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দুই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, তাঁরা যেন এই তদন্ত সংক্রান্ত কাগজে হাত না দেন। ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের নেতৃত্বে তদন্তের কথাও বলেছিলেন তিনি। যদিও পরে তিনি অন্য কারণে আসতে পারেননি।