কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে মামলা দায়ের হল। কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। রাজনৈতিক নেতার কাছে লালবাতি লাগানো গাড়ি কেন? এই প্রশ্ন তুলেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন বিজেপি মোর্চার সহ-সভাপতি তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এই আইনজীবী। একটি রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি কীভাবে লালবাতি গাড়ি চড়ে কলকাতা আসেন সেই প্রশ্ন তুলেই মামলা দায়ের করেন এদিন। আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যতগুলি নীলবাতি, লালবাতি গাড়ি রয়েছে। বিশেষ করে বেআইনিভাবে এই আলো লাগানো গাড়ি ব্যবহার করা হয়, সবগুলো খুলতে হবে। যাঁরা বেআইনিভাবে এই গাড়ি ব্যবহার করেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এটা একটা অদ্ভুত সংস্কৃতি চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূলের কেষ্ট বিষ্টু যে যেখানে নেতা আছেন, সকলেই ভিআইপি যেন। এটা গণতন্ত্রে মানা যায় না। এর বিরুদ্ধেই এই মামলা।”
চলতি মাসের শুরুতেই গরু পাচার মামলায় সিবিআই তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। বীরভূম থেকে তিনি যে গাড়িতে এসেছিলেন, তার মাথায় লালবাতি লাগানো ছিল। প্রশ্ন ওঠে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতেও লালবাতির ব্যবহার নজরে আসে না, সেখানে কীভাবে আইন ভেঙে এক রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতি লালবাতির গাড়ি হাঁকিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও এই প্রথমবার নয়। এর আগে ভোট প্রচারেও লালবাতির গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে।
আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেও তিনি যে গাড়ি থেকে নামেন, সেই গাড়ির মাথায় লালবাতি ছিল। সে সময় বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল অভিযোগ তুলেছিলেন, এই করে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন শাসকদলের নেতারা। এবারই সেই অভিযোগ পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টেও। মামলাকারী এ দিন আদালতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম থেকে কলকাতা এলেন, প্রশ্ন করেন মামলাকারী।
আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: আজ নীল রঙে মিশে গেছে ভেজাল…কারা চড়েন জেনে নিন