Dengue in West Bengal: কীভাবে হবে ডেঙ্গি-দমন? কলকাতা সহ চার জেলার সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব

Dengue: কলকাতা এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি দল নামানোর কথা বলা হয়েছে। কোথাও মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শনে দল বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Dengue in West Bengal: কীভাবে হবে ডেঙ্গি-দমন? কলকাতা সহ চার জেলার সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যসচিব
ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগের

| Edited By: Soumya Saha

Nov 08, 2022 | 8:47 PM

কলকাতা: রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue in West Bengal)) পরিস্থিতি চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য। জোর দেওয়া হচ্ছে নমুনা পরীক্ষার উপরেও। কিন্তু তারপরও উদ্বেগ কমছে না। এমন অবস্থায় বাংলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে (Nabanna) বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কীভাবে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় মঙ্গলবার। কলকাতা এলাকায় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি দল নামানোর কথা বলা হয়েছে। কোথাও মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শনে দল বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯৩২ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। শেষ চব্বিশ ঘণ্টায় মোট ৬ হাজার ১১৪টি নমুনার পরীক্ষা করানো হয়েছে। চিন্তার মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির বার্তা শুনিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। সংক্রমণের হার বর্তমানে কিছুটা স্থিতাবস্থায় রয়েছে বলেই জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষার পর ডেঙ্গি পজিটিভ আসার হারও সামান্য কমেছে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্য়েই বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর পাশাপাশি, নিয়মিতভাবে ফগিং মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে। মশা তাড়ানোর ধোঁয়া ছড়ানো হচ্ছে। নিকাশি নালাগুলিতে গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে রক্তের নমুনা পরীক্ষার উপরেও। বিশেষ করে কারও শরীরে জ্বর বা ডেঙ্গির অন্যান্য কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই দ্রুত রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে পৃথক ফিভার ক্লিনিক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতকিছুর পরেও রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বেগ থেকে যাচ্ছে।