
কলকাতা: এতদিন চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। এবার সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হল সমস্ত মামলা। বৃহস্পতিবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এই মামলা শোনার জন্য এজলাসেও বসেন। আদালত সূত্রে খবর, সেখানেই তিনি আইনজীবীদের কাছ থেকে জানতে পারেন, এদিনই এই মামলা প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব তাঁর এজলাস থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ঠিক কী কারণে এই মামলার ঘর বদল হল তা নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যেও প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে। একইসঙ্গে তাঁদের আশঙ্কা এর ফলে বিচার প্রক্রিয়া ব্যহতও হতে পারে।
রাজ্যে চিটফান্ড নিয়ে হাইকোর্টে মামলা শুরুর পর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুরের সঙ্গেই ডিভিশন বেঞ্চে বসতেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। পরে ২০১৫ সাল নাগাদ এই মামলা শোনার জন্য যে স্পেশাল বেঞ্চ গঠিত হয় সেখানেও তিনি ছিলেন। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী অরিন্দম দাস এদিন বলেন, চিটফান্ডের মামলা হাইকোর্টে প্রথম দিন থেকে শুনছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। ফলে তাঁর এজলাস থেকে এখন এই মামলা সরালে নতুন করে অন্য বেঞ্চকে মামলা শুনে বিচার করতেও সময় লাগবে। এতে মামলার গতিতেও ধাক্কা লাগবে।
হাইকোর্টের নির্দেশে বছর পাঁচেক আগেই রোজভ্যালির টাকা ফেরানোর জন্য গঠিত হয়েছিল বিচারপতি দিলীপ শেঠ কমিটি। এই কমিটির জন্য আর খরচ বহন করতে পারবে না রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে জানান, যেহেতু হাইকোর্টেরই নির্দেশে বিচারপতি তালুকদার কমিটি গঠন হয়েছে। সেখানেই বহু অর্থলগ্নিকারী ভুঁইফোড় সংস্থার মামলা চলছে। তাই রাজ্য শুধু তালুকদার কমিটি চালানোর আর্থিক দায়ভার ও পরিকাঠামোর দায়িত্ব নেবে। এর ফলে অন্যান্য চিটফান্ড মামলার সঙ্গে রোজভ্যালির মামলাও তালুকদার কমিটিতে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মামলাকারীদের এক আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তীর আশঙ্কা, প্রায় ১৫ হাজার কোটির এই কেলেঙ্কারিতে শেঠ কমিটি কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর জন্য অর্থ জমা করছিল। কিন্তু এবার নতুন কমিটিতে এই প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করতে আরও সময় লেগে যাবে।
আরও পড়ুন: WB CPIM: বড় খবর! সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাজ্য কমিটিতে শতরূপ-মীনাক্ষী-সৃজন