কলকাতা: দুর্গাপুজোর আর দু’মাসও বাকি নেই। শহর ও শহরতলির বড় পুজো কমিটিগুলিতে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে। আর এসবের মধ্যেই আগামিকাল (মঙ্গলবার) রাজ্যের সব পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুরনিগম, দমকল, পুলিশ, কেএমডিএ-সহ সমস্ত দফতরের আধিকারিকরা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিও ভার্চুয়ালি জেলাশাসকের অফিস থেকে বৈঠকে উপস্থিত থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
বাংলার দুর্গাপুজোকে গোটা বিশ্বের কাছে আরও বৃহৎ আকারে পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর বছর দুর্গাপুজোর কার্নিভালও আয়োজিত হয়ে আসছে মমতা সরকারের আমলে। কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেসকোর স্বীকৃতিও পেয়েছে। আর এই দুর্গাপুজোর আয়োজনে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রীও। প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গাপুজোর কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন তিনি।
কোন কোন বিষয় উঠে আসতে পারে আগামিকালের বৈঠকে? রাজ্যে বর্ষার মরশুম শুরু হতেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুজো কমিটিগুলির উপর গুরুদায়িত্ব দেওয়া হতে পারে মঙ্গলের বৈঠক থেকে। এর পাশাপাশি গত বছর শহরের বেশ কিছু বড় পুজোয় ঠাকুর দেখা ঘিরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার যাতে আর তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয়, যাতে প্রত্যেকে শৃঙ্খলা পরায়ণভাবে ঠাকুর দেখতে পারেন, সেই বিষয়টির উপরেও নজর দেওয়ার বার্তা আসতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
একইসঙ্গে বিদ্যুতের অপব্যবহার কমানো এবং অপ্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে রাশ টানার বিষয়টিতেও নজর দিতে বলা হতে পারে। শহরের যেসব জায়গায় রাস্তা খারাপ রয়েছে, পুজোর আগে সেগুলি যাতে দ্রুত মেরামত হয়ে যায়, সেই বার্তাও আসতে পারে আগামিকালের বৈঠক থেকে। পাশাপাশি বড় পুজো কমিটিগুলি যাতে ছোট পুজো কমিটিগুলির দায়িত্ব নেয়, সেই বার্তাও দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।