কলকাতা: একুশের জুলাইয়ের মেগা সমাবেশের আগে সভাস্থল পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চের প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন তিনি। মূল মঞ্চের নীচে রাস্তার ধারে চেয়ারে বসে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তাও বলতে দেখা গেল মমতাকে।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মণিপুরের ঘটনা প্রসঙ্গে বললেন, ‘ এ কোন দেশ! যে দেশে মা-বোনের সম্মান নিয়ে খেলা হয়… আমাদের হৃদয় পুড়ে যাচ্ছে, হৃদয় কাঁদছে।’ বিজেপির নেতাদের উদ্দেশে মমতার প্রশ্ন, ‘মহিলাদের সঙ্গে যা হচ্ছে, তা নিয়ে আপনারা কী বলবেন? এটা একটা লজ্জার বিষয়। মহিলা, দলিত, সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতির মানুষদের উপর যে নৃশংসতা চলছে, তা বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া লড়ছে।’
মমতা বললেন, ‘কাল আমাদের শহিদ দিবস। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করার দিন। যাঁরা দেশের জন্য শহিদ হয়েছেন, দলের জন্য শহিদ হয়েছেন… প্রত্যেক শহিদকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করার জন্য আমাদের একুশে জুলাই পালন।’
মমতা বললেন, ‘আমাদের (জোটের) কথাবার্তা চলছে। যদি বাকি রাজনৈতিক দলগুলি রাজি হয়, তাহলে কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে যেতে চাই। আমরা মণিপুরের সঙ্গে আছি। বাংলা তো আছেই, গোটা ইন্ডিয়াও আছে।’
সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম, উদয়ন গুহ, সায়নী ঘোষ-সহ দলের প্রথম সারির অনেক নেতা-নেত্রী উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সায়নী ঘোষের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলতে দেখা যায় মমতাকে।
বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ একুশে জুলাইয়ের সভাস্থল পরিদর্শনে আসেন মমতা। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কলকাতার নগরপালের সঙ্গেও কিছুটা কথা বলে নেন মমতা। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও মঞ্চের নীচে কথা বলতে দেখা যায় মমতাকে।
একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চের নীচে বসে শোভনদেব, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমদের সঙ্গে চা খেতে খেতে কিছুক্ষণ রাজনৈতিক আলোচনা সেরে নেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলের প্রথম সারির সব নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করেন মমতা।
কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত ভোট শেষ হয়েছে। ব্যাপক সাফল্য হয়েছে তৃণমূল শিবিরের। জেলাপরিষদে তো বটেই, গ্রাম পঞ্চায়েত ও সমিতিতেও একতরফা জয়। তারপর আগামিকালের একুুশে জুলাইয়ের সভা স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বেশ কয়েকজন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চের নীচে গান গাইল গিটার হাতে। মুগ্ধ হয়ে শুনলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজেও গিটার তুলে নেন নিজের হাতে।