কলকাতা: ১০০ দিনের কাজের প্রাপ্য টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই চিঠি লেখেন। চিঠির শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘দেখে খুব অবাক লাগছে কেন্দ্রীয় সরকার মনরেগা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বরাদ্দ টাকা এখনও দেয়নি। আপনি জানেন একশো দিনের প্রকল্পের এই টাকা গ্রামীণ এলাকার মানুষের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, চার মাসের বেশি সময় ধরে এই টাকা না আসায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারকে। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা এই বকেয়ার পরিমাণ।
West Bengal CM Mamata Banerjee writes to PM Modi, stating that Govt of India isn’t releasing funds to West Bengal for MGNREGA and PM Awas Yojana.
The CM requests PM’s immediate intervention and direction to the concerned Ministry to release the funds “without any further delay.” pic.twitter.com/W0lQsel6kb
— ANI (@ANI) May 12, 2022
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গে দেশে পয়লা নম্বর। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে ৩২ লক্ষের বেশি বাড়ি এ রাজ্যে তৈরি হয়েছে। অথচ এরপরও কেন্দ্রের কাছ থেকে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য।’ গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক কোনও টাকা দিচ্ছে না বলে এদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানান মমতা। মমতার আর্জি, প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে হস্তক্ষেপ করুন এবং প্রাপ্য টাকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেন দ্রুত ছেড়ে দেয় তা দেখুন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, গত প্রায় আড়াই তিন বছর ধরে করোনার কারণে বিভিন্ন খাতে সরকারের আয় কমেছে। কিন্তু মানুষের কল্যাণে যে প্রকল্পগুলি রয়েছে তা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ কমানোর পরামর্শও দেন তিনি। তাঁর পরামর্শ ছিল, কোনও কাজ অসম্পূর্ণ রেখে নতুন কাজে যেন হাত না দেওয়া হয়। সেখানেই ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ছিল, “১০০ দিনের কাজে আমরা প্রথম। এবারও দেখেছেন আপনারা ১০০ দিনের কাজে টাকা কমিয়ে দিয়েছে। আগেবার ৫২ দিন ছিল, এবার ৪২ দিন পর্যন্ত হয়েছে এখনও অবধি। কাজের নিরিখে কিছু জেলা পিছিয়ে আছে। যেমন পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর। পঞ্চায়েত দফতরকে একটু এগিয়ে চলতে হবে। ভাল করে মনিটরিং করতে হবে। ১০০ দিনের কাজে লোকেরা যেন ঠিক সময়ে টাকা পায়, সেটা দেখতে হবে।”