Jadavpur University: যাদবপুরের ক্যাম্পাসে দাপট বাড়াচ্ছে করোনা, জ্বর নিয়ে আসছেন অধিকাংশ পড়ুয়া
Corona: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট মিতালি দেব জানান, সম্প্রতি তিনি পাঁচজনকে করোনার পরীক্ষা করাতে পাঠিয়েছেন। তাঁর কথায়, অধিকাংশ পড়ুয়াই এখন জ্বর নিয়ে তাঁদের কাছে আসছেন।
কলকাতা: কয়েক মাস আগেই যাদবপুর ক্যাম্পাসে জাঁকিয়ে বসেছিল কোভিড। আক্রান্ত হয়েছিলেন অধ্যাপকরা ও হোস্টেলের ছাত্ররা। এ রাজ্যে আবার বাড়ছে করোনার দাপট। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার পার করে গিয়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনেই মারা গিয়েছেন পাঁচজন। অনেকটাই বেশি পজিটিভিটি রেট। কয়েকদিন আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্যাম্পাসে মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতে কি আটকাচ্ছে করোনা? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ সেন্টারে যাঁরাই আসছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশেরই কোভিডের উপসর্গ। যা যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলছে কর্তৃপক্ষের।
অন্যদিকে একই আশঙ্কা বিশ্বভারতীতেও। সেখানকারও কর্তৃপক্ষ মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে, সঙ্গে ভিজিটর প্রবেশের ক্ষেত্রেও চেয়েছে কড়াকড়ি। রবীন্দ্রভবনে পর্যটক ঢোকাতেও কড়াকড়ি করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে কোভিডের জেরেই দীর্ঘদিন বন্ধ হয়েছিল অফলাইনে পঠনপাঠন। তাই আর কোনওভাবেই যেন সেই পরিস্থিতি না আসে তা নিশ্চিত করতে মাস্ক পরতে বলছেন সকলেই।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট মিতালি দেব বলেন, “আমরা অনেকগুলো মিটিং করেছি। অফিসাররা বা উচ্চপদস্থ আধিকারিক যাঁরা আছেন তাঁদের সঙ্গে বসেছি। কী কী করতে হবে, পড়ুয়াদের কী কী বলতে হবে সবটাই আলোচনা হয়েছে সেখানে। আমরা লিফলেট ছড়ানো, পোস্টার লাগানো, মিটিং করা, ক্লাসে ক্লাসে বোঝানো, হেলথ সেন্টারে যারা আসছে তাদের নিয়মিত পরীক্ষা করানোর কথা বলছি। যে জ্বর নিয়ে আসছে, তাকেই বোঝাচ্ছি কীভাবে নিজেকে সাবধানে রাখবে। আশেপাশের বন্ধুদের কীভাবে বিপন্মুক্ত রাখবে। আমি যতটা সম্ভব একজনকে দিয়ে বাকি ১০ জনকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করছি। নিজের হলেও যাতে আর কারও না ছড়ায় সেটাই বার্তা দিচ্ছি মুখে মুখে।”
মিতালি দেব জানান, সম্প্রতি তিনি পাঁচজনকে করোনার পরীক্ষা করাতে পাঠিয়েছেন। তাঁর কথায়, অধিকাংশ পড়ুয়াই এখন জ্বর নিয়ে তাঁদের কাছে আসছেন। সব জ্বরই যে করোনার জন্য, এমনটা নয় মানছেন মিতালিদেবী। তবে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কোভিড ধরা পড়ছে বলে মত তাঁর।