কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) মেরে ফেলা হতে পারে, এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের দাবি, অনুব্রত এমন কিছু মামলার সঙ্গে জড়িয়ে, যেখানে শাসকদলের আরও নেতা যুক্ত। তাই সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য এমনটা করা হতে পারে বলে মনে করছেন এই বিজেপি সাংসদ। সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এর থেকে অনুব্রত মণ্ডলের জেলে থাকা ভাল। তাতে অন্তত প্রাণটা বাঁচবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এরকমই বিস্ফোরক কথা শোনা গিয়েছিল বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের গলায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘অনুব্রত মণ্ডলকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হতে পারে।’ যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এবার একই সুর দিলীপ ঘোষের বক্তব্যেও।
সোমবার নিউটাউনের ইকো পার্কে অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওনার খালি সিবিআই দেখলেই শরীর খারাপ হয়ে যায়। তবে এভাবে তো বেশি দিন চালানো যায় না। আজ হোক, কাল হোক যেতে তো হবেই।” এরপরই দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, “কিন্তু আমার যেটা সন্দেহ হচ্ছে, হয় ওনাকে সারা জীবন হাসপাতালে থাকতে হবে। না হলে জেলে থাকতে হবে। জেলে থাকলে ঠিক আছে। কিন্তু হাসপাতালে থাকলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। এখন যেটা আমার মনে হচ্ছে যেভাবেই হোক তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।”
কেন এমনটা বললেন দিলীপবাবু? দিলীপ ঘোষের ব্যাখ্যা, “তথ্য লোপাট করার জন্য এটা করা হতে পারে। বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত। আর তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা এসবে যুক্ত আছে। আমার মনে হয় একটা চাবিতেই সব ঘর খোলা যাবে। তাই চাবিটা হারিয়ে ফেলাই ভাল। সেই জন্য আমাদের এখন নতুন চিন্তা এটা। লোকটা জেলে গেলে প্রাণটা থাকবে, নয়ত খুব সম্ভাবনা আছে না বেঁচে থাকার।” যদিও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কারও কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।