কলকাতা: বঙ্গ বিজেপিতে (BJP) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। সূত্রের খবর, এবার বিজেপির সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। যদিও সাংগঠনিক গ্রুপ ছাড়লেও এখনও বিধায়কদের যে গ্রুপ, সেখানে রয়েছেন তিনি। কেন এই গ্রুপ তিনি ছাড়লেন, তা নিয়ে অবশ্য পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গত কয়েকদিনে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে আবারও যে ‘বিদ্রোহে’র আগুন মাথা চাড়া দিচ্ছে তা বলাই যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি জানি না কে কেন এইসব গ্রুপ ছাড়ে আর কেনই বা থাকে। এসব গ্রুপে আমরা বিশ্বাস করি না।”
একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বাংলায় বিজেপির সংগঠন প্রশ্নের মুখে পড়ে। এরইমধ্যে রদবদল হয় নানা পদে। দিলীপ ঘোষের পরিবর্তে রাজ্য সভাপতি করা হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। রাজ্য কমিটি, জেলার মাথায়ও নতুন মুখ আনা হয়। মনে করা হয়েছিল, আপাদমস্তক সাংগঠনিক বদল পদ্মশিবিরে স্বস্তির হাওয়া আনবে। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটাই। বরং দলের অন্দরে আরও বেশি করে মাথাচাড়া দিতে থাকে ক্ষোভ, অভিযোগ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতার দলত্যাগ কিংবা রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুদের মতো পুরনো নেতার কোণঠাসা হয়ে যাওয়া অস্বস্তি বাড়ায় দলের অন্দরেই। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ঘন ঘন ‘গোপন’ বৈঠকে বসা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় নেতাদের দলীয় পদ ছাড়ার ঘটনা, সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপি কিছুটা বিড়ম্বনায়।
জোর জল্পনা শুরু হয়েছে মালদহ উত্তরের বিধায়ক খগেন মুর্মুকে নিয়েও। যদিও দিলীপ ঘোষের কথায়, “অনেককে নিয়ে অনেক কিছুই জল্পনা হয়। এতে কিছু যায় আসে না। বিজেপির ক্ষতি করার জন্য একটা পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সব জায়গায় এটা চলছে। আমার মনে হয় দলের সিস্টেম যখন তৈরি হয়ে যাবে, সব পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর কেউ বিজেপি ছেড়ে অন্য জায়গায় যাবে, আমার তো তা মনে হয় না।”
আরও পড়ুন: Body Found: মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, মশারির ভিতর থেকে উঁকি মারছেন বৃদ্ধা… ঘরে ঢুকতেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য