
নন্দন পাল: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২৮ কোটি টাকা নগদ, বহুমূল্য সোনার গয়না উদ্ধার ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি সেক্স টয়ও। এ খবরে কার্যত স্তম্ভিত রাজ্যবাসী। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া মহিলার ফ্ল্যাটে সেক্স টয় কেন রাখা ছিল, তা নিয়ে হাজারো কাটাছেঁড়া চলছে। এসবের মধ্যেই কলকাতায় সেক্স টয়ের বাজারের হালহকিকত জানতে খোঁজ চালাল টিভি নাইন বাংলা।
অফলাইনে সেক্স টয় বিক্রি কলকাতায় কার্যত ‘নিষিদ্ধ’। দোকানে গিয়ে দেখেশুনে সেক্স টয় কেনার সুযোগ এ শহরে মিলবে না। তবে চাইলে অনলাইনে অনায়াসে পেতে পারেন ‘যৌনসুখ’ মেটানোর এই পুতুল। কলকাতায় কোথায় পাওয়া যায় এই সেক্স টয়? সোশ্যাল মিডিয়া ঘেঁটে এক ব্যবসায়ীর ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন ঘোরাতেই, ওপার থেকে ভেসে এল এক পুরুষ স্বর। তিনিই সেক্স টয়ের ব্যবসায়ী। তাঁর একটাই অনুরোধ ছিল, নাম যেন প্রকাশ না করা হয়।
সেই ‘চুক্তি’তেই এগোল কথোপকথন। ‘কলকাতা সেক্স টয়’ নামে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পেজ থেকে এই ব্যবসা চালান ওই ব্যবসায়ী। জানালেন, অনলাইনে অর্ডার করলে, হাতে হাতে ডেলিভারি দিয়ে দেবেন। কতদিন সময় লাগবে? ওই ব্যবসায়ীর উত্তর, “যদি কলকাতায় স্টক থাকে, তবে সেম ডে ডেলিভারি হবে। আজ কিংবা কালকের মধ্যে ডেলিভারি হয়ে যাবে।”
ওই ব্যবসায়ীই জানালেন, নানা রূপে তৈরি করেন সেক্স টয়। পুরুষ, মহিলা, যুগল, সবরকমের সেক্স টয় রয়েছে তাঁর কাছে। তাঁর সংযোজন, “ফিমেলদের জন্য ডিলডো আছে। অনেক রকমেরই ডিলডো রয়েছে আমাদের কাছে।” ওই ব্যবসায়ীর কথায়, কেউ নিতে চাইলে তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ করলেই হবে। সেখানেই বিস্তারিত জানিয়ে দেবেন তিনি। কিন্তু কেন সেক্স টয় অনলাইনে কিনতে হয়? ওপেন শপে কেন কেনা যাবে না? ওই ব্যবসায়ীর বক্তব্য, “অনলাইনে কেনা লিগ্যাল। ওপেন শপে কেনা লিগ্যাল নয়।”