Bratya Basu: সমন্বয় বদলে গেল সংঘাতে? উপাচার্যদের পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করতে রাজ্যপালকে অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর

Bratya Basu: শিক্ষামন্ত্রী বললেন, 'রাজ্যপালের কাছে আমি অনুরোধ করব, রাজভবন থেকে যে চিঠি গিয়েছে, তা যেন প্রত্যাহার করা হয়। কারণ, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়।'

Bratya Basu: সমন্বয় বদলে গেল সংঘাতে? উপাচার্যদের পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করতে রাজ্যপালকে অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর
সিভি আনন্দ বোস ও ব্রাত্য বসু

| Edited By: Soumya Saha

Apr 07, 2023 | 5:16 PM

কলকাতা: রাজভবন থেকে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরাসরি রিপোর্ট পাঠাতে হবে রাজভবনে। প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাবেন আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে। আর এই চিঠি নিয়েই ফের কি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে? কারণ, এবার সেই চিঠির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজভবন থেকে পাঠানো ওই চিঠি যাতে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, রাজ্যপালের কাছে সেই অনুরোধও করলেন শিক্ষামন্ত্রী। বললেন, ‘রাজ্যপালের কাছে আমি অনুরোধ করব, রাজভবন থেকে যে চিঠি গিয়েছে, তা যেন প্রত্যাহার করা হয়। কারণ, এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনের গরিমা ক্ষুণ্ণ হয়।’

শুধু তাই নয়, রাজভবন থেকে উপাচার্যদের পাঠানো ওই চিঠির আইনি বৈধতা নিয়েও সংশয় রয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর মনে। এই চিঠির বিষয়ে আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বললেন, ‘আমি যতদূর জানি, এর কোনও আইনি সংস্থান নেই। এই চিঠির কোনও আইনি ভিত্তি নেই বলেই আমি জানি। রাজ্যপাল আইনিভাবে চলতে ভালবাসেন। আমাদের একাধিকবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি আইনের মান্যতার কথা বলেছিলেন। তাই আমরা আইনি পরামর্শ করে দেখব। ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দফতর আইনি পরামর্শ চেয়েছে।

আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ছাড়াও, এই চিঠির নৈতিকতা নিয়েও আপত্তির কথা শোনালেন ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসন রয়েছে। খুব অবাঞ্ছিত ঘটনা ছাড়া উচ্চশিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাজে খবরদারি করতে চায় না। তাছাড়া প্রত্যেক উপাচার্যেরও মর্যাদা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বশাসনের গরিমার কথা মনে করিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ, রাজ্যপাল যেন সেই চিঠি প্রত্যাহার করে নেন। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি আবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে?

উল্লেখ্য, এর আগে রাজভবনের বাইরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রী। সেই সময় সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন ব্রাত্য। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পর্বে ইতি পড়ছে। কিন্তু রাজ্যপালের চিঠি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর এমন মন্তব্য আবার সেই দ্বন্দ্বের প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে বিভিন্ন মহলে।