কলকাতা: কথা বলতে গেলে গলা খানিক কেঁপে যায়। মাথা ভর্তি চুল থাকলেও ধবধবে সাদা, দাঁতের পাটিও বেশিটাই ফাঁকা। চোখ জোড়া খানিক ঘোলাটে। তবে ৮৪টা বসন্ত যে পার করে ফেলেছেন হাবভাব দেখলে মনে হবে না। টনটনে কথা বলেন কলকাতা বন্দর এরিয়ার বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। গিয়েছিলেন ভোট দিতে। বেরিয়ে এসে ফেটে পড়লেন ক্ষোভে, “বলে কি না ইউ আর ডেড! আমি বললাম ডেড তো আমি ভূত নাকি?”
সোমবার সপ্তম দফায় ভোট কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রেও। এখানকারই ফতেপুর হরিদেবপুর স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন অশীতিপর বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। নিজের ভোটটা দেওয়ার আগে প্রিসাইডিং অফিসারকে নিজের ভোটার কার্ডটি দেখান তিনি। কার্ড দেখেই উনি বলেন, “আপনি তো মৃত!” শুনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় বিশ্বনাথবাবুর। প্রথমে কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেও সামলে নিয়ে বিশ্বনাথবাবু পাল্টা বলেন, “মৃত মানে? আমি কি ভূত নাকি? তারপরও বলল, হবে না। গো টু হোম।”
আরও পড়ুন: সায়নীকে উদ্ধত তর্জনী পুলিসের ‘মাই নেম ইজ এন মণ্ডল’, ‘ডোন্ট শাউট’ পাল্টা প্রার্থী
এতবার করে ভোটার তালিকার সংশোধনী হয়। ভোটের মুখে বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটার তালিকা তৈরির কাজ হয়। অথচ এরপরও এ ধরনের ত্রুটি থেকে যায় কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে ভোট দেওয়া নিয়ে নাছোড় বিশ্বনাথবাবু, “বেঁচে আছি, ভোট দেব না কেন? আমি কেন মরব? ৫০ বছর ধরে ভোট দিচ্ছি। আমি ভোট দেব ব্যস!”
আরও পড়ুন: ঐশীকে বুথে ঢুকতে বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনীর, ‘ভোট করাব যদি বাধা দেওয়া হয়’, পাল্টা হুঁশিয়ারি প্রার্থীর