কলকাতা: ফের বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হল। এবার রোদ্দুর রায়ের নামে চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। রোদ্দুর রায়ের সোশাল মিডিয়ার লাইভ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিতর্ক দানা বেঁধেছে। একটা সময় রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে তাঁর নানা মন্তব্য চর্চার শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে ইদানিং রবীন্দ্রনাথ নন, রোদ্দুরের আলোচ্য হয়ে উঠছেন রাজনৈতিক নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য বিতর্কেরও জন্ম দেয়। এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছিল।
সম্প্রতি সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র মৃত্যুর পর রোদ্দুরের আরও একটি লাইভ ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগকারী তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত তাঁর অভিযোগপত্রে লেখেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছেন রোদ্দুর রায়। পাশাপাশি সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও রোদ্দুর রায়ের মন্তব্য নিয়ে অভিযোগ করেছেন ঋজু দত্ত। এই প্রথমবার নয়। মাসখানেক আগেও রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় পাটুলি থানায়। অরিত্র সাহা নামে এক তৃণমূল কর্মী সেই অভিযোগ দায়ের করেন।
মমতার বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন সেই সময়। সমাজের একটা বড় অংশের মত, সমলোচনা করতে গিয়ে বারবারই শালীনতার গণ্ডী পার করে ফেলেন এই ইউটিউবার। কারও আবার মনে হয়, সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য এই ধরনের শব্দ নিয়ে খেলা রোদ্দুরের।
তবে সোশাল মিডিয়ায় রোদ্দুর রায়ের ভক্তও নেহাত কম নয়। খুব গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়েও সহজ চালে তাঁর কিস্তি মাতের চেষ্টা, মন কাড়ে অনেকেরই। নেটাগরিকদের কাছে রোদ্দুর রায়ের জনপ্রয়িতা বারবরই থেকেছে তুঙ্গে। দেশের নানা আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে কথা বলার সময় তাঁর মজার বাচনভঙ্গি দৃষ্টি কেড়েছে সমাজের একটা বড় অংশের। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে সীমা পার করে যাওয়ার প্রবণতাও রয়েছে রোদ্দুরের। এমনটাই মত তাঁর ভক্তদের কারও কারও। যদিও এই অভিযোগ নিয়ে রোদ্দুর রায়ের কোনও বক্তব্য় এখনও পাওয়া যায়নি।