কলকাতা: সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ। ধর্মতলা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ধৃতরা উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। অভিযোগ, ধৃতরা নিজেদের সেনাবাহিনীর উচ্চ পদে কর্মরত বলে পরিচয় দিয়ে অনেকের কাছ থেকেই টাকা নেন। পরে দেখা যায় গোটা বিষয়টাই ভুয়ো। এমনকী অভিযুক্তরা নিজেদের ভুয়ো পরিচয়পত্রও তৈরি করেন। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের এই চক্র। সোমবার ধর্মতলায় এসেছিলেন টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে। কিন্তু কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার কাছে আগাম সে খবর পৌঁছয়। তাদের অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়েন পাঁচজন।
গ্রেফতারির পরই দেখা যায় পাঁচজনের মধ্যে দু’জন ভারতীয় সেনার উর্দি পরে রয়েছেন। এমনকী তাঁদের কলার ব্যাজে নামও রেখা রয়েছে। ভারতীয় সেনা যেরকম পোশাক পরে, হুবহু সেই পোশাক। তবে নজর এড়ায়নি কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত যাঁদের প্রতারণা করা হচ্ছে তাঁদের বিশ্বাস জিততেই এই পোশাক পরে ঘুরতেন অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম রোহিত গুপ্তা, জিতেন্দ্র কুমার, অভিষেক কুমার, উমাকান্তি যাদব ও শিবম পাণ্ডে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কলকাতায় রীতিমতো অফিস খুলে এই প্রতারণাচক্র চালানোর পরিকল্পনা ছিল ধৃতদের। শুধু চাকরি দেওয়াই নয়, তার আগে প্রশিক্ষণও দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। বলেছিলেন, কাশ্মীর, রাজস্থানের মতো জায়গায় চাকরির পোস্টিং হবে। কিন্তু দেখা গেল এই ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটা বড় চক্র কাজ করছে ভিন রাজ্য থেকে এসে।
এর আগেও একাধিকবার সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে বহু। তবে এভাবে খাস কলকাতায় চক্র চালানোর অভিযোগ নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। তবে কি শহরে সক্রিয় হচ্ছে এ ধরনের অসাধু চক্র? একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, বারবার একই ঘটনার পরও কেন ঘুষ দিয়ে চাকরির প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে? পাঁচজনকে জেরা করে এই চক্রের বিস্তার কতদূর তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।