
কলকাতা: রামনবমী নিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশের। এরই মধ্যে রাজ্য প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, ২ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাজ্য়ের কোনও পুলিশকর্মী ছুটি নিতে পারবেন না। এবার রামনবমীকে কেন্দ্র করে যাতে আইনশৃঙ্খলার পরস্থিতি অবনতি না হয়, তার জন্য পুলিশের বিশেষ দল গঠন করল নবান্ন। ২৯ আইপিএস অফিসারকে বিভিন্ন জায়গায় নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হল।
আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী। রাজ্যজুড়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের একাধিক নেতা অস্ত্র নিয়ে মিছিলেরও ডাক দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার গত ২৯ মার্চ এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন, “আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি ইদ এবং রামনবমীর দিন কোনও মহল থেকে এমন পরিকল্পনা করা হচ্ছে, যাতে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে। সাম্প্রদায়িক শান্তি বিঘ্নিত হয়।” এই পরিস্থিতিতে ২ তারিখ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সমস্ত পুলিশকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যা নিয়ে শাসকদল ও প্রশাসনকে তোপ দেগে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বলেছিলেন, “জোর করে টেনশন তৈরির চেষ্টা চলছে।”
তবে রামনবমীকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, তার জন্য রাজ্য যে সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল নবান্ন। রামনবমীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ দল তৈরি করা হল। ২৯ আইপিএসকে ওইদিন বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হল। হাওড়া উত্তর ও হাওড়া গ্রামীণে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে ব্যারাকপুর, আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, ইসলামপুর এবং চন্দননগরেও বাড়তি সতর্ক থাকছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রামনবমীতে হাওড়ার দায়িত্বে থাকবেন ৬ জন আইপিএস। ব্যারাকপুরে অতিরিক্ত ৪ পুলিশকর্তা নজর রাখবেন। মুর্শিদাবাদ-মালদহে দায়িত্বে থাকবেন অতিরিক্ত ৫ জন করে আইপিএস। ইসলামপুর এবং আসানসোলে মোতায়েন ৩ জন করে পুলিশকর্তা। চন্দননগর ও শিলিগুড়িতে বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে আইজি থেকে এসপি পদাধিকারী ২৯ জন পুলিশকর্তাকে মোতায়েন করল নবান্ন।