কলকাতা: রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্য নিয়োগ নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে নবান্নে। আগে বিধানসভায় ওই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও, পরবর্তীতে সেই বৈঠকের দিনক্ষণ ও স্থান উভয়ই পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ঠিক ছিল, ৪ ডিসেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে বৈঠক হবে। পরবর্তীতে স্থির হয়, আগামী ১৪ ডিসেম্বর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কনফারেন্স হলে ওই বৈঠক হবে। নবান্নের ১৪ তলায় ওই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। যদিও সূত্রের খবর, সাসপেনশন ও দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে প্রতিবাদ হিসেবে ওই বৈঠক বয়কট করতে পারেন বিরোধী দলনেতা।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্য নিয়োগের জন্য বিধি অনুযায়ী একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৪ ডিসেম্বর নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ওই বৈঠক আয়োজিত হবে। সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষ ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই মর্মে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বি পি গোপালিকা ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছেন। বৈঠকের এজেন্ডাও চিঠি মারফত জানানো হয়েছে।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য পদের জন্য তিনটি আবেদন জমা পড়েছে। তালিকায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আমলা বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়াও রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারক পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় ও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা অধীর শর্মার আবেদনও জমা পড়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য পদের জন্য।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিয়োগ সংক্রান্ত এই বৈঠকে শুভেন্দুকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, সাসপেনশন ও দুর্নীতির প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই বৈঠক তিনি বয়কট করতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, আজই বিরোধী দলনেতা জানিয়ে দিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় গেলে বিজেপি বিধায়করা তাঁকে বয়কট করব।” বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই জানিয়েছেন শুভেন্দু।