কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। সেই নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষা মহল। শুরু হয়েছে রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি। বর্তমানে উপাচার্যহীন অবস্থায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সেক্ষেত্রে নতুন উপাচার্য কবে নিয়োগ করা হবে যাদবপুরে? এই নিয়ে মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের সন্ধেয় প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে। উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে আশার কথা শোনালেন তিনি। বললেন, ‘রাত থাকলে, দিনের আলোও অবশ্যই থাকবে। নিশ্চয়ই এই নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। আপনারা শীঘ্রই এই বিষয়ে জানতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে যখন বিরোধীদের একাংশ রাজ্য পুলিশের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলছে, তখন পাল্টা দিতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক শিবিরও। যাদবপুরের ঘটনার দায় যে রাজ্যপাল এড়িয়ে যেতে পারেন না, তা নিজের টুইটেই বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টুইটারে কিছুদিন আগে তিনি লিখেছেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি রাজ্যপালের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি তাঁর ব্যর্থতা।’ আর এসবের মধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির প্রতিনিধি দল আসারও কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত এদিন সকালে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের থেকে প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আর এসবের মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে রাজভবনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক চা-চক্রে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও অনেক বিশিষ্ট জনেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই চা-চক্র শেষে সন্ধেয় রাজভবন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের প্রশ্নে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপালকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমরা হাত মেলাতে চেয়েছিলাম।’