কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে। আর এরই মধ্যে বুধবার যাদবপুরের কোর্ট মিটিং ডেকেছিলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস। এদিন বিকেলে রাজভবনে শুরু হয় কোর্ট মিটিং। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। কোর্ট মিটিং চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট নিলেন আচার্য বোস। সূত্রের খবর, প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের আলাদা হস্টেলে সরানো হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন আচার্যের। সেই নিয়েও সহ-উপাচার্যের থেকে রিপোর্ট নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এদিন রাজভবনে যাদবপুরের কোর্ট মিটিং-এও উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তায় কোথায় কোথায় খামতি রয়েছে, সেই বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানদের কাছে জানতে চান আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যহীন অবস্থার কথাও উঠে এসেছে রাজভবনের বৈঠকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নেই, স্থায়ী ডিন নেই… এমন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় চলবে কীভাবে? তা নিয়ে এদিন রাজ্যপাল বোসের কাছে অধ্যাপকরা প্রশ্ন করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এদিন বিকেলে বৈঠকে আচার্য বোসকে অধ্যাপকরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী কর্তৃপক্ষ থাকলে এত বড় ঘটনায় কাজ করতে সুবিধা হবে। বৈঠকে যাবতীয় সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল। সূত্র মারফত এও জানা যাচ্ছে, তিনি বলেছেন, ‘অনেক কিছু অজানা ছিল, জানলাম।’
উল্লেখ্য, যাদবপুরের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে গতকালও প্রশ্ন করা হয়েছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। সেই সময়েও তিনি বলেছিলেন, ‘যেখানে রাত, সেখানে দিনের আলোও অবশ্যই থাকবে।’ উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে নিশ্চিতভাবে পদক্ষেপ করা হবে এবং শীঘ্রই তা জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন আচার্য বোস।