Jagdeep Dhankhar: বিধানসভার অধিবেশন ঘিরে জটিলতা! রাজ্যের সুপারিশ ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল

West Bengal Assembly Session: রাজ্যপালের বক্তব্য, ৭ মার্চ থেকে বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার যে সুপারিশ রাজভবনে পাঠানো হয়েছে, তা সংবিধান মেনে করা হয়নি। সেই কারণে অধিবেশন ডাকার জন্য ওই সুপারিশ ফেরত পাঠানো ছাড়া রাজ্যপালের কাছে আর কোনও উপায় খোলা নেই।

Jagdeep Dhankhar: বিধানসভার অধিবেশন ঘিরে জটিলতা! রাজ্যের সুপারিশ ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল
জগদীপ ধনখড় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 19, 2022 | 3:33 PM

কলকাতা : রাজ্য ও রাজ্যপাল (West Bengal Govt and Governor Tussle) সংঘাতের বাতাবরণ যেন কিছুতেই শেষ হওয়ার নয়। ফের নয়া টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Governor Jagdeeep Dhankhar)। আর এবার রাজ্যপালের টুইট ঘিরে ফের চর্চায় রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন (West Bengal Assembly)। রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ৭ মার্চ থেকে শুরু করতে চাইছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু ওই দিন থেকে আদৌ বিধানসভার অধিবেশন শুরু করা যাবে কি না, তা নিয়ে ফের এক জটিলতা দেখা দিয়েছে। রাজ্যপালের বক্তব্য, ৭ মার্চ থেকে বিধানসভা অধিবেশন শুরু করার যে সুপারিশ রাজভবনে পাঠানো হয়েছে, তা সংবিধান মেনে করা হয়নি। সেই কারণে অধিবেশন ডাকার জন্য ওই সুপারিশ ফেরত পাঠানো ছাড়া রাজ্যপালের কাছে আর কোনও উপায় খোলা নেই। টুইটারে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।

কেন রাজ্যপাল ফেরত পাঠালেন রাজ্যের সুপারিশ?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি নিয়ে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সুপারিশ অনুযায়ী, আগামী ৭ মার্চ দুপুর ২ টোর সময় রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন ডাকার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সুপারিশ ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই সুপারিশটি পান। পরিষদীয় মন্ত্রীর পাঠানো ওই সুপারিশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেই সুপারিশ কেন ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল?

টুইটারে কী বলছেন রাজ্যপাল?

রাজ্যপালের বক্তব্য, সংবিধান অনুযায়ী, একমাত্র রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার পরেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য সুপারিশ করতে পারেন পরিষদীয় মন্ত্রী। অথচ, পরিষদীয় মন্ত্রী যে সুপারিশটি রাজভবনে পাঠিয়েছেন, তাতে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিষয়টি কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। রাজ্যপালের বক্তব্য, বিষয়টি সংবিধানের ১৬৬ (৩)  ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থী। রাজ্যপাল কেবল রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিললে তবেই বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে পারেন। সেই কারণে, ওই সুপারিশ রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।

যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এটি অনায়াসেই রাজ্যপাল করতে পারতেন। কেন তিনি এটি করলেন না, তা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট মহল এও মনে করছে, বিষয়টি অত্যন্ত সামান্য ইস্যু। কিন্তু এই বিষয়টিকেও প্রকাশ্যে নিয়ে এসে রাজ্যপাল হয়ত নিজের অস্তিত্ব আরও বেশি করে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বক্তব্য, রাজ্যপাল ভেসে থাকার জন্য এবং তাঁর কোনও কাজকর্ম না থাকার কারণেই তিনি এই কাজ করছেন।

আরও পড়ুন : Weather Update: ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল ‘হাওয়া’! রবিবার থেকেই পুরো বদলে যাবে এই জেলাগুলির পরিস্থিতি