স্কুল খোলার প্রাথমিক প্রস্তুতি! শিক্ষকদের টিকাকরণ বাড়াতে বলল নবান্ন
মঙ্গলবার জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণে গতি বৃদ্ধি করার জন্য।
কলকাতা: দুর্গাপুজোর পরই স্কুল খোলার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। একাধিকবার বিষয়টি সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো এ বার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও একের পর এক পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। যেহেতু পুজোর পর স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই কথা মাথায় রেখে স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেখানেই জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় স্কুল শিক্ষকদের টিকাকরণে গতি বৃদ্ধি করার জন্য।
এ বাদেও কোভিড ম্যানেজমেন্ট ও টিকাকরণে গতি আনতে একাধিক নির্দেশ গিয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। মুখ্যসচিব জানিয়ে দিয়েছেন, বেশি ভ্যাকসিন কোনও মতেই মজুত করে রাখা যাবে না। ইদানীং বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন মজুত করা হচ্ছে যার ফলে কোনও কোনও জেলায় কৃত্রিম আকাল তৈরি হচ্ছে টিকার। এমনটা রাজ্য সরকার বরদাস্ত করবে না বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যসচিবের নির্দেশানুযায়ী, সর্বাধিক ৩ দিন, এর বেশিদিন ভ্যাকসিন স্টক করে রাখতে পারবে না কোনও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ। শহরাঞ্চলেও ভ্যাকসিন দেওয়া আরও বাড়ানোর নির্দেশ তিনি দিয়েছেন।
যদিও কোনও এলাকায় দেখা যায় যে করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দিচ্ছে, সে ক্ষেত্রে তা মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জ়োনে ভাগ করে নিয়ে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিনে রাজ্যে টিকাকরণের গতি বেড়েছে। সেই গতি যেন কোনও ভাবেই ঝিমিয়ে না পড়ে, তেমন নির্দেশও গিয়েছে নবান্নর তরফে।
এ তো গেল করোনা পরিস্থিতি ও টিকাকরণ পর্ব। এ বাদে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়েও নতুন করে সাবধান করা হয়েছে জেলাশাসকদের। মুখ্যসচিব কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, দুয়ারের সরকার কর্মসূচিতে যেন কোনও ভাবেই রাজনৈতিক কোনও নেতা-কর্মী যুক্ত না থাকে। কয়েকটা জেলায় এখনও এই সমস্যা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আপনার নজর রাখুন। লক্ষীর ভান্ডার থেকে কাউকে ফেরানো যাবে না। দুয়ারে সরকারের যত আবেদনই আসবে, সব আবেদন গ্রহণ করতে হবে। কোনও আবেদন বাতিল করা যাবে না।” আবেদন গ্রহণ করার পর যার যার নির্দিষ্ট তথ্য থাকবে না, সেই অনুযায়ী অবস্থা বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে। কিন্তু কাউকে ফেরানো যাবে না, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্যসচিবের।
প্রসঙ্গত, গতকালই মুখ্যসচিব জেলাশাসকদের জানিয়ে দিয়েছিলেন, অনেক জায়গা থেকেই অভিযোগ আসছে যে পঞ্চায়েত বা ক্লাব সদস্য দুয়ারে সরকারের ফর্ম ফিলাপ করছেন। এমনটা কিছুতেই করা যাবে না। প্রয়োজনে স্ব-নির্ভর গোষ্ঠী, কন্যাশ্রী বা কলেজ পড়ুয়াদের দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানো যেতে পারে। কিন্তু সরকারি কর্মসূচি দলের প্রভাব বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। আরও পড়ুন: ভারতে করোনার ‘শেষের শুরু’ হয়ে গিয়েছে! অবশেষে সুখবর শোনালেন হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী