Kaliaganj: শবদেহের জন্য অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল দেয় না, এটি পুরসভার দায়িত্ব: স্বাস্থ্যসচিব
Kaliaganj Deadbody: টাকা জোগাড় করতে পারেননি। তাই অ্যাম্বুলেন্সও মেলেনি। অভিযোগ তেমনই। আর সেই কারণে বাসে করেই ব্যাগের মধ্যে সন্তানের দেহ নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জের বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাঁকে। রবিবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।
কলকাতা: একটা কালো রঙা ব্যাগ। খুব বড়-সড় কোনও ব্যাগ নয়, কিন্তু সেই ব্যাগের ভার যে কতখানি… তা যিনি বয়ে নিয়ে এসেছেন তিনিই হয়ত বুঝতে পারছিলেন। কারণ, ব্যাগের মধ্যে করে তিনি বয়ে নিয়ে এসেছেন পাঁচ মাসের ছোট্ট সন্তানের দেহ (Child Death)। টাকা জোগাড় করতে পারেননি। তাই অ্যাম্বুলেন্সও মেলেনি। অভিযোগ তেমনই। আর সেই কারণে বাসে করেই ব্যাগের মধ্যে সন্তানের দেহ নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জের (Kaliaganj) বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাঁকে। রবিবার এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জাও। আর এরই মধ্যে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। ঘটনাটি ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।
কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে, ওই ব্যক্তি টাকার অভাবে সন্তানের দেহ নিয়ে আসার জন্য নাকি অ্যাম্বুলেন্স পাননি। যদিও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলছেন, শবদেহের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতালের তরফে দেওয়া হয় না। এটি পুরসভার দায়িত্ব।
উল্লেখ্য, রবিবারের ওই ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধীরা। গতরাতেই বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দেখা করেছিলেন কালিয়াগঞ্জের ওই শোকস্তব্ধ পরিবারের সঙ্গে। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর সোমবার সকালে তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও সেখানে গিয়েছিলেন। বিজেপি – তৃণমূল উভয় শিবিরই কালিয়াগঞ্জের ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, যে সময়ে ওই ব্যক্তি সন্তানের দেহ নিয়ে আসার জন্য ছোটাছুটি করছিলেন, সেই সময় তাঁর আত্মীয়-পরিজন বা পাড়া-প্রতিবেশীরা কী করছিলেন?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কালিয়াগঞ্জের ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যে অ্যাম্বুলেন্সের কোনও অভাব নেই। এসবের মধ্যেই কালিয়াগঞ্জের ওই ঘটনা নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন।