কলকাতা: সিআইডির (CID) হাতে গ্রেফতার হওয়া ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) তিন বিধায়ককে (MLA) বিধানসভা অধিবেশনের কাজে অংশ নেওয়ার অনুমতি। শর্তসাপেক্ষে এই অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শর্ত অনুযায়ী, বিধানসভার অধিবেশনের কাজে অংশ নেওয়ার আগে তদন্তকারী অধিকারীকে জানাতে হবে। তাঁকে সবটা জানিয়ে যেতে হবে। একইসঙ্গে কাজ শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফিরেও আসার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবারই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন আদালত জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা থেকে অধিবেশনে অংশগ্রহণের চিঠি এলে তবেই সেখানে অংশ নেওয়ার জন্য যেতে পারবেন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক। সম্প্রতি দীর্ঘ টানাপোড়নের পর শর্তসাপেক্ষে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান তিন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ পাঁচজন। হাওড়া থেকে নগদ-সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের। জামিনের শর্ত ছিল, জামিন পেলেও এখনই ঝাড়খণ্ডে ফিরতে পারবেন না বিধায়করা। শুধু তাই নয়, কলকাতার বাইরেও বেরোতে পারবেন না তাঁরা। তবে সম্প্রতি বিধানসভার কাজের জন্য ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান বিধায়করা। সোমবার হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল।
সম্প্রতি হাওড়া জেলার পাঁচলা থেকে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ পাঁচজনকে। তিন বিধায়কের মধ্যে ছিলেন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, রাঁচি জেলার খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ, সিমদেগা জেলার কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল কোঙ্গারি। এছাড়াও গাড়ির চালক চন্দন কুমার ও ঝাড়খণ্ডের যুব কংগ্রেস নেতা কুমার প্রতীককেও গ্রেফতার করা হয়।
পাঁচলার কাছে রানিহাটি মোড় থেকে আটক করা হয়েছিল একটি কালো গাড়ি। তার ভিতর থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। গাড়িটি আটক করার পাশাপাশি তিন কংগ্রেস নেতাকেও আটক করা হয়। পরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। হাওয়া গ্রামীণ, হাওড়া শহর ও সিআইডির যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতারি। সিআইডি হেফাজতে থাকার পর গত ১৭ অগস্ট তিন কংগ্রেস বিধায়ক জামিনে মুক্তি পান।