
কলকাতা: সাত বছরের এক শিশুকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ইকো পার্ক (Eco Park) থানা এলাকায় নিউটাউনের শুলংগুড়ি ঘোষপাড়ায়। নিহত ওই শিশুর নাম দিব্যাংশু প্যাটেল (৭)। জানা গিয়েছে, দিব্যাংশু মা, বাবা, দাদার সঙ্গে ভাড়া থাকত এলাকার একটি বাড়িতে। বাড়ি বিহারে। সেখানে আরও কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। যাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, তিনিও এই বাড়ির আরেক ভাড়াটে। নাম লক্ষ্মণ কুমার। খৈনি বিক্রেতা তিনি। একই বাড়িতে চার বছর ধরে থাকছেন দুই পরিবার। পাশেই থাকতেন অনিমা দাস নামে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তাঁর স্বামী। বৃহস্পতিবার দিব্যাংশুর দাদা বাথরুমে গিয়েছিল। সেও নাবালক। লক্ষ্মণের সঙ্গে সে সময় তার কথা কাটাকাটি হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযোগ, লক্ষ্মণ সে সময় ওই নাবালককে ধাক্কা মারে। মাথায় ব্যথা পায় সে। মাথা ফুলে যায়। মাকে সবটা জানায় সে। এরপর তার মা লক্ষ্মণকে বিষয়টি নিয়ে বলতে গেলে কথা কাটাকাটি হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, এরপরই লক্ষ্মণ একটি কাটারি নিয়ে এসে দিব্যাংশুকে আঘাত করে। ছেলেকে বাঁচাতে এসে আক্রান্ত হন মা সুষমা পাটেল। পিঠে গুরুতর লাগে। এদিকে প্রতিবেশীর এক দৃশ্য দেখে ছুটে আসেন পাশের ঘরের অনিমা। অভিযোগ, তাঁকেও কোপ মারেন লক্ষ্মণ। সকলকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও ততক্ষণে মারা গিয়েছে দিব্যাংশু। বাকি দু’জনের আঘাতও গুরুতর। অন্যদিকে এমন পরিস্থিতিতে ভয় পেয়ে পালিয়ে যায় দিব্যাংশুর দাদা।
এলাকার বাসিন্দা রত্না সুতার বলেন, “আমরা নীল ষষ্ঠীর উপোস করেছি। ঘরে বসেছিলাম। আমাদের বাচ্চারা বাইরে খেলছে। আমার বাচ্চা এসে বলছে মা ওখানে একজন পড়ে আছে, রক্ত বেরোচ্ছে। বেরিয়ে দেখি দু’জন পড়ে আছে। একটা বাচ্চা আর তার মা। পাশে আরেকজন মহিলা পড়ে আছেন। আমরা ভেবেছি সন্তানসম্ভবা বলে হয়ত মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছেন। ধরতে গিয়ে দেখি পিঠে কোপ। বাচ্চাটারও কোমর কাটা। ওর মায়ের পিঠের মেরুদণ্ডটা মনে হচ্ছে বেরিয়ে এসেছে।” সারা ঘর টাটকা রক্তে ভাসছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইকো পার্ক থানার পুলিশ। এদিকে লক্ষ্মণ পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।