Beleghata: ‘মদ পেটে পড়ে গেলে দেয়ার ইজ নো গোষ্ঠী’, বেলেঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ মানতে নারাজ কাউন্সিলর

Kolkata: সোমবার রাতের ঘটনায় রাজু নস্করের দুই অনুগামী শুকদেব দাস ও প্রদীপ দাসের মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ।

Beleghata: 'মদ পেটে পড়ে গেলে দেয়ার ইজ নো গোষ্ঠী', বেলেঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ মানতে নারাজ কাউন্সিলর
প্রদীপ দাস ও শুকদেব দাস। ডানদিকে কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2023 | 7:39 AM

কলকাতা: খাস কলকাতায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ। সোমবার দুই পক্ষের ঝামেলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলেঘাটা এলাকা। বেলেঘাটার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে এদিন রাত ৯টা নাগাদ শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে বলে অভিযোগ। মুহূর্তে হাতাহাতি মারামারির রূপ নেয়। দু’জনের মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল ঘনিষ্ঠ হিসাবে এলাকায় পরিচিত রাজু নস্কর। অভিযোগ, তাঁর অনুগামীদের সঙ্গেই তৃণমূল কাউন্সিলর জীবন সাহা ঘনিষ্ঠ শঙ্কর চক্রবর্তীর লোকজনের ঝামেলা হয় এদিন। যদিও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। তিনি জানান, এক পক্ষ মদ্য়প অবস্থায় ছিল। এখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীর কোনও ব্যাপারই নেই। এ বিষয়ে জীবন সাহা, শঙ্কর চক্রবর্তী বা তাঁদের অনুগামীদের তরফে কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তা পাওয়া গেলেই এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে।

সোমবার রাতের ঘটনায় রাজু নস্করের দুই অনুগামী শুকদেব দাস ও প্রদীপ দাসের মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। তাঁদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। রাজু নস্কর বলেন, “আমাদের এক কর্মী প্রদীপ দাসকে শঙ্কর চক্রবর্তীর ছেলেরা মেরেছে। এরা এক সময় সিপিএমের ছিল। বিধানসভা, পুরসভা ভোটে এদের কেউ দেখেনি। এখন হঠাৎ করে এসে প্রদীপ দাসকে মারধর করল। শুকদেব দাস প্রতিবাদ করায় ওকেও ফেলে মেরেছে। বন্দুকের বাট দিয়ে মেরেছে। শুকদেব আইএনটিটিইউসির নেতা। আমরা এক প্রতিকার চাই।” একইসঙ্গে নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানোর কথাও বলেন রাজু।

রাজু নস্করের কথায়, বেলেঘাটা শান্ত এলাকা। সেই শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকার কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস বলেন, “আমি শুনলাম দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। মদ্যপ লোকজন ঝামেলা করছে। এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। পুলিশ যা করার করুক। যেখানে ঝামেলা হচ্ছে, পুলিশ ধরুক, বেদম মেরে জেলে ঢুকিয়ে দিক। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখানে নেই। মদ পেটে পড়ে গেলে দেয়ার ইজ নো গোষ্ঠী। অনলি মদের গোষ্ঠী ওটা। এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। কী হয়েছে আমি এখনও জানি না। তবে এক পক্ষ মদ খেয়ে ছিল আমি নিশ্চিত। পুলিশ দেখুক।”

আহত শুকদেব দাস বলেন, “আমরা ক্লাব সমন্বয়ের কাছে ক্যারাম খেলছিলাম। প্রদীপ ফোন করে বলে, দাদা আমাকে এখানে খুব মারধর করছে। শুনে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি, ওদের হাতে অস্ত্র, পাঞ্চার, লোহার রড। আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও বেধড়ক মারে। মাথা ফেটে যায়। ২০২১ পর্যন্ত পরেশ পালের সঙ্গে ছিলেন না। ভোটের কোনও কাজই করেনি। অলকানন্দ দাসের ভোটেও ছিল না। আসলে এরা সুবিধাবাদী। এরা কোনও পার্টির লোক না। আমি আমার নেতা, নেত্রীদের কাছে অনুরোধ করব প্রশাসনের মাধ্যমে বিষয়টা দেখুন।”