Ayan-Anubrata: পুর-দুর্নীতিতে অয়ন-অনুব্রতর ‘যুগলবন্দি’? আড়ালে থাকা মন্ত্রীই বা কে

Anubrata Mondal: গরু পাচার, কয়লা পাচারের পর এবার অনুব্রত মণ্ডলের নাম নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও জড়িয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল

Ayan-Anubrata: পুর-দুর্নীতিতে অয়ন-অনুব্রতর 'যুগলবন্দি'? আড়ালে থাকা মন্ত্রীই বা কে
অয়ন শীল ও অনুব্রত মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2023 | 8:45 PM

কলকাতা: বিভিন্ন পুরসভায় (Municipality) নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে। এবার সেই দুর্নীতিতে অয়ন শীল (Ayan Shil) ও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) যোগের সম্ভাবনা উঠে আসছে বলে ইডি সূত্রে খবর। সূত্রের দাবি, অয়নের সংস্থাকে বিভিন্ন পুরসভায় কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে। সেই নেতা অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বলেও ইডি সূত্রে খবর। সূত্রের দাবি, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ ওই নেতা বিভিন্ন পুরসভার কর্তৃপক্ষকে চাপ দিতেন অয়নের সংস্থাকে দিয়ে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। সূত্রের দাবি, এখানেই শেষ নয়। কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি না হলে সেই নেতা ফোনে ধরিয়ে দিতেন রাজ্যের প্রভাবশালী এক মন্ত্রীকে।

গরু পাচার মামলা, কয়লা পাচার মামলার পর এবার অনুব্রত মণ্ডলের নাম নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রেও জড়িয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ধৃত অয়ন শীলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই ইডি জানতে পেরেছে, বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়নের একটি চেন কাজ করত। সেখানে বেশ কয়েকজন ‘মিডলম্যান’ও ছিলেন।

তবে এবার সূত্র মারফত যে তথ্য উঠে আসছে, তা চাঞ্চল্যকর। ২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভা এলাকায় পুরকর্মী নিয়োগের প্রয়োজন হয়। সে সময় রাজ্যে কোনও পুরসভাতেই পরীক্ষা নেওয়ার নিজস্ব পরিকাঠামো ছিল না। বাধ্য হয়েই লোকাল বডির কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। ডিরেক্টরেট অব লোকাল বডি বা ডিএলবি থেকেই নিয়োগে অয়নের কোম্পানি কাজে লাগানোর সুপারিশ যায় বলে সূত্রের খবর। এদিকে অয়নের এবিএস ইনফোজেন তখন একেবারে অখ্যাত সংস্থা। কী করে পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার ব্যবস্থার বরাত গেল?

সূত্রের খবর, সেই সময় ডিএলবি অর্থাৎ পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের একটি সংগঠনের একজন নেতা বীরভূমের বাসিন্দা ছিলেন। তিনিই নিজের প্রভাব খাটাতেন। সূত্রের খবর, বিভিন্ন পুরসভায় ফোন করে সুপারিশ করতেন অয়নের কোম্পানিকে সমস্ত টেন্ডারের বরাত যেন দেওয়া হয়। সূত্রের দাবি, তাতে কেউ রাজি না হলে এরপর এক মন্ত্রীকে ফোন ধরিয়ে দিতেন ওই নেতা। এ নিয়ে পুরসভার অন্দরেও সে সময় গুঞ্জন হতো, কেন এত বড় টেন্ডার এরকম অখ্যাত সংস্থাকে দেওয়া হবে। তবে সেসব কথা খাটত না বলেই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। অনুব্রতর দাপটেই কি ওই বীরভূমের নেতার এমন দাপট ছিল, উত্তর খুঁজছে ইডি।