Kaustav Bagchi: ‘সুজন চক্রবর্তী যদি চোর হয়, সাতদিনের মধ্যে জেলে পাঠান’, ডিএ মঞ্চে বললেন কৌস্তভ
DA: সিপিএম, কংগ্রেস নেতাদের মঞ্চ ছাড়ার পর সেখানে দেখা যায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী, অশোক লাহিড়িদের।
কলকাতা: ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের মহাসমাবেশ। সেই সমাবেশ থেকে সরকারের সঙ্গে সবরকম অসহযোগিতার ডাক দিলেন কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Koustabh Bagchi)। বৃহস্পতিবার কলকাতা শহিদ মিনারে এই মহাসমাবেশ হয়। সেখানে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপির শীর্ষ বঙ্গ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিম, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে একই সারিতে বসেছিলেন কংগ্রেসের কৌস্তভ। সিপিএম, কংগ্রেস নেতাদের মঞ্চ ছাড়ার পর সেখানে দেখা যায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী, অশোক লাহিড়িদের। হাইভোল্টেজ এই মহাসমাবেশ থেকে একযোগে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিরোধীরা। এদিন কৌস্তভ বাগচী বলেন, “একটা কথাই বলতে চাই, অনেকদিন ধরে আপনারা আন্দোলন করছেন, এবার একটা চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে। আমি এই সভার যারা উদ্যোক্তা, সকলকে বলব এই সরকারের সঙ্গে আর কোনওরকম সহযোগিতা করা যাবে না। টোটাল নন-কোঅপারেশনের ডাক দিন। প্রত্যেকটা দফতর, বিভাগকে বলব আগামিদিনে সরকারের সঙ্গে আর কোনওরকম কোঅপারেশন নয়। এই হোক আগামিদিনের আন্দোলনের পথ।” একইসঙ্গে তিনি কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, সাতদিন সময় নিন মুখ্যমন্ত্রী। সুজন কিংবা অধীর বা সেলিম, প্রদীপ কেউ চোর হলে জেলে পাঠান। আর তা না পারলে পদ ছাড়ুন।
এদিন কৌস্তভ বাগচী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন বলো কী নন্দলাল। আমরা বলছি, বলো কী নন্দলাল। চোর এখানে বীর হয়, এই তো রাজ্যের হাল। গরু চুরি, কয়লা চুরি করে সব ফাঁকা করে দিলেও ইডি, সিবিআই ধরতে পারবে না। এটাই ওদের দাবি। আর ন্যায্য দাবিতে যারা আন্দোলন করবে তাদের চোর, ডাকাত বলা হবে।”
বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৩০ ঘণ্টার ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি আর সিপিএমের লোক কোঅর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে মিলে আছে। তারাই তো কাগজগুলো সরায়। আর তাদের আমলে আপনি একটা কাগজ খুঁজে পাবেন না। আমি সব ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছি, সব ফাইল খুঁজে বের করুন।” সম্প্রতি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়েও একটা বিতর্ক দানা বাঁধে।
কৌস্তভ বাগচী বলেন, “উনি ফাইলের কথা বলেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি আগামী সাতদিনের মধ্যে ফাইলগুলি খুলুন। কারা চুরি করেছে বলুন। আগামী সাতদিনের মধ্যে সুজন চক্রবর্তী যদি চোর হয়, সুজন চক্রবর্তীকে জেলে পাঠান। আগামী সাতদিনের মধ্যে যদি মহম্মদ সেলিম চোর হন তাঁকে জেলে পাঠান। যদি অধীর চৌধুরী চোর হন, প্রদীপ ভট্টাচার্য চোর হন, সাতদিনের মধ্যে জেলে পাঠান। আর যদি না পারেন তাহলে আপনি পদ ছাড়ুন।”