MD Selim: সাগরদিঘিকে হাতিয়ার করে পঞ্চায়েতে কেমন হবে জোট, উত্তর দিলেন মহম্মদ সেলিম

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 06, 2023 | 12:02 AM

CPIM-TMC: মহম্মদ সেলিমের আপত্তি এই 'মহাজোট' শব্দে। বরং তাঁর কথায়, "আমরা বামফ্রন্ট। তার সঙ্গে সহযোগী। যারা বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছে শিরদাঁড়া বিক্রি করবে না এমন সকলে।"

Follow Us

কলকাতা: শাসকদলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কি তবে এবার থাবা পড়ল? সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার এই প্রশ্নই সবথেকে বেশি উস্কে দিয়েছে। এ নিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বা তাপস রায়ের মতো বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতারা ইতিমধ্যেই বলেছেন, এত সহজ সমীকরণে না যাওয়াই ভাল। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই ভোটব্যাঙ্ক ব্যাপারটা হিন্দু বা মুসলমান কোনও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন সংখ্যালঘু ভোট তাঁর বিপক্ষে যাবে না। এই ধারনা ভেঙেছে। সেই সমীকরণটাই ডুবে গিয়েছে, সাগরদিঘির জয়ের তাৎপর্য এখানেই। হিন্দু হলে বিজেপি আর মুসলিম হলে তৃণমূল, এই হিসাবটা ডুবে গিয়েছে। এবার এটা গঙ্গায় ডুববে, বঙ্গোপসাগরেও ডুববে।” মহম্মদ সেলিম তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন, সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করবে আগামীতেও। সেলিমের কথায়, “শুধু বাম-কংগ্রেস নয়, বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শক্তিকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু দল নয়, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সামাজিক সংগঠন সকলকে। আজ রাজ্যকে বাঁচাতে হলে, দেশ বাঁচাতে হলে এককাট্টা হতেই হবে। এটাই সাগরদিঘির নির্দেশ।”

তাহলে কি পঞ্চায়েতে এমন ‘মহাজোটে’ই হাঁটবে বাম-কংগ্রেস? মহম্মদ সেলিমের আপত্তি এই ‘মহাজোট’ শব্দে। বরং তাঁর কথায়, “আমরা বামফ্রন্ট। তার সঙ্গে সহযোগী। যারা বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছে শিরদাঁড়া বিক্রি করবে না এমন সকলে।” ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে সাগরদিঘির জোট ‘অনৈতিক’। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একসঙ্গে লড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, বিজেপির ভোট গিয়েছে বাম সমর্থিত কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাসের ভোটবাক্সে। তাতেই এই জয় এসেছে।

এ নিয়ে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বিজেপি মানায় না। কারণ, উনি বলেছিলেন বিজেপি তাঁর ন্যাচরাল অ্যালাই। অনরেকর্ড বলেছিলেন। আরএসএস বলেছিল, মমতাকে দুর্গা। তিনি বলেছিলেন, দরকার হলে বিজেপিকে বাংলায় নিয়ে এসে মহাজোট করে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়বেন এবং লড়েছেন। বিজেপির সঙ্গে গিয়ে সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। বাজপেয়ীজীকে মালপোয়া খাইয়েছেন। অনৈতিক জোটের কথা? নীতি নৈতিকতার কথা শুধু মমতা নন, তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের না বলাই উচিত।”

বরং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মতে, সাগরদিঘির ভোট রীতিমতো নমুনা হয়ে থাকল। সেলিম বলেন, “একটাও বোমা ফাটল না, এতটাও গুলি চলল না, লাঠিচার্জ হল না। কেউ কোনও অভিযোগ করল না। দেখা গেল বিজেপি এবং তৃণমূল দু’জনে হেরে গেল। বোমাবাজি, কারচুপি হলে, মস্তানি হলে হয়ত দেখা যেত তৃণমূলের পক্ষে ফল গিয়েছে। যদি ধর্মের ভাগাভাগি হলে হয়ত বিজেপির পক্ষে যেত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে শান্তিও আসবে, সম্প্রীতিও আসবে আর বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ী হবে। সেটাই প্রমাণিত হল।”

কলকাতা: শাসকদলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কি তবে এবার থাবা পড়ল? সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের হার এই প্রশ্নই সবথেকে বেশি উস্কে দিয়েছে। এ নিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বা তাপস রায়ের মতো বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতারা ইতিমধ্যেই বলেছেন, এত সহজ সমীকরণে না যাওয়াই ভাল। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। টিভি নাইন বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে এক সাক্ষাৎকারে মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই ভোটব্যাঙ্ক ব্যাপারটা হিন্দু বা মুসলমান কোনও ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন সংখ্যালঘু ভোট তাঁর বিপক্ষে যাবে না। এই ধারনা ভেঙেছে। সেই সমীকরণটাই ডুবে গিয়েছে, সাগরদিঘির জয়ের তাৎপর্য এখানেই। হিন্দু হলে বিজেপি আর মুসলিম হলে তৃণমূল, এই হিসাবটা ডুবে গিয়েছে। এবার এটা গঙ্গায় ডুববে, বঙ্গোপসাগরেও ডুববে।” মহম্মদ সেলিম তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন, সিপিএম-কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করবে আগামীতেও। সেলিমের কথায়, “শুধু বাম-কংগ্রেস নয়, বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী সমস্ত শক্তিকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। শুধু দল নয়, ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সামাজিক সংগঠন সকলকে। আজ রাজ্যকে বাঁচাতে হলে, দেশ বাঁচাতে হলে এককাট্টা হতেই হবে। এটাই সাগরদিঘির নির্দেশ।”

তাহলে কি পঞ্চায়েতে এমন ‘মহাজোটে’ই হাঁটবে বাম-কংগ্রেস? মহম্মদ সেলিমের আপত্তি এই ‘মহাজোট’ শব্দে। বরং তাঁর কথায়, “আমরা বামফ্রন্ট। তার সঙ্গে সহযোগী। যারা বিজেপি এবং তৃণমূলের কাছে শিরদাঁড়া বিক্রি করবে না এমন সকলে।” ইতিমধ্যেই সাগরদিঘির জোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কাছে সাগরদিঘির জোট ‘অনৈতিক’। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একসঙ্গে লড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, বিজেপির ভোট গিয়েছে বাম সমর্থিত কংগ্রেসের বায়রন বিশ্বাসের ভোটবাক্সে। তাতেই এই জয় এসেছে।

এ নিয়ে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে বিজেপি মানায় না। কারণ, উনি বলেছিলেন বিজেপি তাঁর ন্যাচরাল অ্যালাই। অনরেকর্ড বলেছিলেন। আরএসএস বলেছিল, মমতাকে দুর্গা। তিনি বলেছিলেন, দরকার হলে বিজেপিকে বাংলায় নিয়ে এসে মহাজোট করে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়বেন এবং লড়েছেন। বিজেপির সঙ্গে গিয়ে সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। বাজপেয়ীজীকে মালপোয়া খাইয়েছেন। অনৈতিক জোটের কথা? নীতি নৈতিকতার কথা শুধু মমতা নন, তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের না বলাই উচিত।”

বরং সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের মতে, সাগরদিঘির ভোট রীতিমতো নমুনা হয়ে থাকল। সেলিম বলেন, “একটাও বোমা ফাটল না, এতটাও গুলি চলল না, লাঠিচার্জ হল না। কেউ কোনও অভিযোগ করল না। দেখা গেল বিজেপি এবং তৃণমূল দু’জনে হেরে গেল। বোমাবাজি, কারচুপি হলে, মস্তানি হলে হয়ত দেখা যেত তৃণমূলের পক্ষে ফল গিয়েছে। যদি ধর্মের ভাগাভাগি হলে হয়ত বিজেপির পক্ষে যেত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে শান্তিও আসবে, সম্প্রীতিও আসবে আর বাম-কংগ্রেসের প্রার্থী জয়ী হবে। সেটাই প্রমাণিত হল।”

Next Article