DA: আরও ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা, নবান্নের নির্দেশিকা ‘উড়িয়ে’ ২৪শে বিকাশ ভবন অভিযান
Nabanna: এক আন্দোলনকারী বলেন, 'আন্দোলনের চাপে সরকার দিশাহারা। সরকার ও তার আমলাবাহিনী নিত্য নতুন সার্কুলার বা অর্ডার বের করছে। কিন্তু কর্মচারিরা সেসব গ্রাহ্য করছেন না। তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়।'
কলকাতা: আবারও ডিএ (DA) নিয়ে চড়ছে সুর। সরকারি হুঁশিয়ারি থাকলেও তাতে দমতে নারাজ আন্দোলনকারীরা। সরকারি নির্দেশিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা জানিয়েছেন, শ্রমিক আন্দোলন ভাঙতেই সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা তা মানবেন না বলেও জানিয়েছেন। প্রয়োজনে টিফিন পিরিয়ডে তাঁরা আন্দোলনে বসবেন। এক আন্দোলনকারীর কথায়, “আন্দোলনের চাপে সরকার দিশাহারা। সরকার ও তার আমলাবাহিনী নিত্য নতুন সার্কুলার বা অর্ডার বের করছে। কিন্তু কর্মচারিরা সেসব গ্রাহ্য করছেন না। তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড়। আমরা ১১৫ দিন ধরে শহিদ মিনারে অবস্থান করছি। সরকার বলছে টিফিন টাইমে কর্মচারি-শিক্ষকরা কেবল টিফিন করবেন। এ কেমন কথা? আমাদের তো ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার আছে। তা সেটা যদি অফিস টাইমে না করতে পারি, বাড়ি গিয়ে করব? সরকারের এই আদেশনামা আমরা মানছি না।”
আগামী ২৪ মে সল্টলেক করুণাময়ীতে এক কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সেদিন বেলা ১টায় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক সমাবেশ হবে বলে জানান সুবীর সাহা, সৌমেন্দ্রনারায়ণ বসু, সৌগত লাহিড়িরা। জানান, পুলিশ আন্দোলনের অনুমতি না দিলেও সমাবেশ হবে। বলেন, “আমরা আন্দোলন করবই। যা করার করুক। বিকাশ ভবনে ২৪ মে ডেপুটেশন দেবো আমরা।” প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটবেন বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার নবান্নের তরফে সরকারি কর্মচারিদের অফিসে হাজিরা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, অফিসে কর্মসংস্কৃতি ঠিক রাখতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে আগেভাগে না জানিয়ে কেউ ছুটি নিতে পারবে না। তবে হাসপাতালে ভর্তি, নিকটআত্মীয় বিয়োগের মতো বেশ কিছু ক্ষেত্রে এ নিয়ম শিথিল হবে। এখানেই বিরোধিতা সংগ্রামী যৌথমঞ্চের।