AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ED: পুরসভার নিয়োগে ২০০ কোটির দুর্নীতি! ইডির রিপোর্টে নতুন করে শোরগোল

ED: চাকরি দিতে ২০০ কোটি টাকার বেশি তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডির দাবি, লেনদেনের কথা কবুলও করেছেন অয়ন শীল।

ED: পুরসভার নিয়োগে ২০০ কোটির দুর্নীতি! ইডির রিপোর্টে নতুন করে শোরগোল
ইডির রিপোর্টে চাঞ্চল্য।
| Edited By: | Updated on: Apr 22, 2023 | 2:26 PM
Share

কলকাতা: অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পর নিয়োগকাণ্ডে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি আগেই জানিয়েছিল, শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও হাত রয়েছে অয়নের। ‘দুর্নীতি’র গভীরতা আন্দাজ করে শুক্রবারই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার হাইকোর্টের নির্দেশেই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০০ কোটির হদিশ পেল ইডি। ধৃত অয়ন শীল শুধুমাত্র পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। এ কথা অয়ন জেরায় স্বীকারও করেছেন বলেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে ইডি। ইডির কলকাতা জোনাল অফিসের অ্যাসিসট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্র ওই রিপোর্ট আদালতে জমা দেন। রাজ্যের প্রায় প্রতিটি পুরসভায় এই দুর্নীতি হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

কাঁচড়াপাড়া, নিউ ব্য়ারাকপুর, কামারহাটি, বরানগর, টিটাগড়, হালিশহর পুরসভা রয়েছে ইডির স্ক্যানারে। রাজ্যের আরও অনেক পুরসভা আতসকাচের তলায়। মজদুর, সুইপার, ক্লার্ক, পিওন পদে অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাটেন্ডেন্ট, অ্যাসিসট্যান্ট মিস্ত্রি, পাম্প অপারেটর, হেল্পার, স্যানিটারি অ্যাসিসট্যান্ট, গাড়ির চালক পদেও বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠছে।

আর এই নিয়োগে অয়ন শীলের মতো নাম যেন উঠে এসেছে, একইভাবে একাধিক সরকারি আধিকারিক, রাজনৈতিক নেতা যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও দেখছে ইডি। এইসব চাকরি দিতেই ২০০ কোটি টাকা বাজার থেকে তোলা হয়েছে। তদন্তকারীদের কাছে, এ যেন সমান্তরাল রিক্রুটমেন্ট বোর্ড চালনা।

এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “তদন্ত তো হওয়া উচিত। প্রতিটি পুরসভায় তৃণমূল তার দলের লোকজনকে ক্যাজুয়াল ক্যাটাগরিতে ইচ্ছামতো নিয়োগ করেছে। এ কারণেই প্রতিটি পুরসভায় এখন আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। ক্যাজুয়াল স্টাফদের মাইনে দিতে দিতে সব টাকা চলে যাচ্ছে।”

পাল্টা তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “অভিযোগকারীও ইডি, তদন্তও করবে ইডি। ভারতের একটা আইন ব্যবস্থা তো আছে। প্রাথমিক-মাধ্যমিক নিয়োগের ব্যাপারে কিছু লোক অভিযোগ করেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্ট ইডিকে তদন্ত করতে দেয়। এখানে তো অভিযোগটা কার সেটাই জানতে পারছি না। কোনও অভিযোগ নেই। ইডি একটা ন্যারেটিভ তৈরি করে দিল। একজন অন্য কেসে অভিযুক্ত তার বাড়িতে সে তথ্য সাজিয়ে রেখে দিয়েছে, একদিন ইডি এসে দেখবে সে পুরসভায় দুর্নীতি করেছে। এসব গল্প ইডিই তৈরি করতে পারে।”