Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আসবাবপত্রের গোডাউন, আতঙ্কে ছোটাছুটি এলাকাবাসীর

Rajarhat: খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও।

Fire: দাউ দাউ করে জ্বলছে আসবাবপত্রের গোডাউন, আতঙ্কে ছোটাছুটি এলাকাবাসীর
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা।

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 27, 2022 | 6:20 AM

কলকাতা: ফের শহরে ভয়াবহ আগুন (Fire)। এবার ঘটনাস্থল রাজারহাট গোপালপুরের নারায়ণপুর বাবলাতলা। সোমবার রাতে এখানকার একটি কাঠের আসবাবের গোডাউনে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এলাকার লোকজন জানান, প্রাথমিকভাবে তাঁরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে দমকলেও খবর দেওয়া হয়। প্রথমে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কারণে পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন আনতে হয়। দমকলের মোট চারটি ইঞ্জিন প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ও। এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। যেখানে এদিন রাতে আগুন লাগে, তার থেকে ওই পেট্রোল পাম্প ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। স্বভাবতই এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার কাউন্সিলর আমাকে ফোন করেন। তাঁর কাছেই আগুন লাগার খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে দমকলে খবর দেওয়া হয়। তারাই নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, এখানে প্রচুর আসবাবপত্র রাখা ছিল। কীভাবে আগুন লাগল তা স্পষ্ট নয়। শর্টসার্কিট নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এটা বসতি এলাকা। এই গোডাউনের সামনে প্রচুর বাড়িঘর। ফলে একটা চিন্তা ছিল। সকলে মিলে অবশ্য বিপদ সামাল দিতে পেরেছে। দমকলের পাশাপাশি পুলিশও খুবই তৎপর ছিল। কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে বসতি এলাকা হওয়ায় ভয়াবহতা অনেক বেশি হতে পারত। দমকল তদন্ত করে দেখুক কীভাবে এই ঘটনা।”

বিধাননগর ফায়ার ব্রিগেডের স্টেশন অফিসার জয়েশ কাঞ্জিলাল জানান, ১২টা ১০ নাগাদ খবর যায় তাদের কাছে। এটা একটা গোডাউন। প্লাইউডের জিনিস, কাঠের আসবাবপত্র রয়েছে। ভিতরে প্রচুর জিনিস ছিল। সবই দাহ্য। তাই আগুনের শিখা মুহূর্তে লেলিহান হয়ে ওঠে। একইসঙ্গে গোডাউন অনেকটা লম্বা হওয়ায় প্রথম দিকে আগুন নেভাতে দমকলের আধিকারিকদের বেগও পেতে হয়। যদিও পরে দমকলের চারটে ইঞ্জিন এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।