কলকাতা: বহিরাগত প্রবেশের ক্ষেত্রে এবার কঠোর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। বিনা অনুমতিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হল যাদবপুরে বহিরাগতদের প্রবেশ। এ সংক্রান্ত নোটিস ইতিমধ্যেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি গেটে। এর আগে একাধিক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। যার অন্যতম কারণ হিসাবে তুলে ধরা হয় বহিরাগত প্রবেশের বিষয়টি। এমনও অভিযোগ উঠছিল, বারবার বহিরাগত প্রবেশের জেরে যাদবপুর ক্যাম্পাসে রাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। সেসব কড়া হাতে দমন করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তাই কঠোর সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, যে কোনও প্রতিষ্ঠানেই শৃঙ্খলার দিকটি নজরে রাখা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। তার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও করতেই হয়। এটিও তার মধ্যেই পড়ে। সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের কথায়, “মাঝখানে বহিরাগতদের জন্য অনেকগুলো সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল যা ভীষণভাবে অনভিপ্রেত। এই বহিরাগতদের সঙ্গে এখানকার পড়ুয়াদের একটা অভ্যন্তরীন সমস্যাও প্রকট হচ্ছিল। সে কারণেই কিছু কিছু পদক্ষেপ আমরা করেছি। পুজোর ছুটির সময় আমরা যেমন বহিরাগতদের প্রবেশ একেবারে নিষিদ্ধ করেছিলাম। অক্টোবরে পুজোর ছুটির সময় কঠোরভাবে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। পুজোর ছুটির আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুর্গাপুজো, কালীপুজোর ছুটি শেষ হওয়ার পর আমরা একটা নোটিস দেব। সেটাই দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসে।”
একইসঙ্গে তিনি বলেন, “বিনা অনুমতিতে বা উপযুক্ত কারণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হল। শনিবারই এরকম একটা বোর্ড আমরা লাগিয়েছি। কিছু ব্যানারও সেই অনুযায়ী করা হচ্ছে। শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখেই এগুলো আমরা করছি। ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। তা যাতে যথার্থভাবে পালন করা যায় তাই এটা করলাম।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে বহিরাগতদের একটা সমস্যার অভিযোগ গত কয়েক মাসে একাধিকবার সামনে এসেছে। ক্যাম্পাসে যাঁরা থাকেন সেইসব পড়ুয়াদের একাংশের সঙ্গে বহিরাগতদের একটা ঝামেলার অভিযোগও উঠছিল বারংবার। এরপরই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় কোনও বহিরাগত ‘বিনা অনুমতিতে/ উপযুক্ত কারণ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ’। যে বোর্ডগুলি ঝোলানো হয়েছে, তাতে এই বক্তব্যর সঙ্গে লেখা ‘আদেশানুসারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ’।