Bikash Ranjan Bhattacharya: মামলা-কাঁটায় বিকাশ ভট্টাচার্যের ‘বিরুদ্ধে’ এবার গান্ধী মূর্তির নীচে বসা চাকরি প্রার্থীরাও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 19, 2022 | 9:00 AM

SSC: এতদিন যে বিকাশ ভট্টাচার্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে উদ্ধারকর্তা রূপে ছিলেন, সেই বিকাশবাবুর বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

Follow Us

কলকাতা: ছ’বছরের প্রতীক্ষার পর সবেমাত্র কাউন্সেলিং হয়েছিল। ১৪০৪ জন হবু শিক্ষক যখন চাকরি পাওয়ার একেবারে দোরগোড়ায়, তখনই মামলার কাঁটা। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দিকে তির ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীদের। গান্ধীমূর্তির নীচে বসা চাকরি প্রার্থীরাও বিকাশবাবুর বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ ওড়াচ্ছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা।

দীর্ঘ আন্দোলনের পর সুখবর আসে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা বিষয়ক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। কাউন্সেলিংয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু হঠাৎই মোড় ঘুরে যায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার। আদালতে দায়ের হয় নতুন একটি মামলা। সেই মামলার জেরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায়। নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। কিন্তু কেন এই মামলা?

কারণ, সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত পদ। এই পদ তৈরি করে অপেক্ষমানদের চাকরির ব্যবস্থা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার ১৪০৪ চাকরিপ্রার্থীর জন্য ১৬০০ পদ তৈরি করা হয়। এই নিউমেরারি পদে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ওয়েটিং লিস্টের বাইরে থাকা এক পরীক্ষা মামলা দায়ের করেন। কমিশন আদালতকে জানিয়েছিল, অপেক্ষমানদের চাকরি দিতে এই পদ তৈরি করা হয়েছে।

যা নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, আইন ভেঙে এই নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিও মন্তব্য করেন, ছাত্ররা যাতে ভাল শিক্ষক পান, সেটাই লক্ষ্য। এই সওয়াল জবাবের পরই নিয়োগে ১৪ দিনের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় আদালত। এই নির্দেশে কার্যত কপালে হাত পড়ে চাকরি প্রার্থীদের।

এতদিন যে বিকাশ ভট্টাচার্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে উদ্ধারকর্তা রূপে ছিলেন, সেই বিকাশবাবুর বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের কথায়, “আমাদের ক্ষোভ থাকাটাই তো স্বাভাবিক। যাঁরা এতদিন আমাদের জন্য আইনি লড়াই লড়লেন, আমাদের পাশে থাকলেন, আমাদের মঞ্চে গেলেন, কেন তাঁরা এমন আচরণ করছেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে আইনের অপব্যবহার কিছু একটা করতে চাইছেন। এটা না করলেই ভাল হত।”

বৃহস্পতিবার চাকরি প্রার্থীরা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে সোজা আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য দফতরের সামনে পৌঁছে যান। শুক্রবার এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “মনে হচ্ছে রাজনীতির ঘুঁটি হচ্ছি।” যদিও চাকরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওড়াচ্ছেন বিকাশবাবু। তাঁর বক্তব্য, “এটা আরও একটা দুর্নীতি। খুব বড় দুর্নীতি। সরকার এখানে এই ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের আবার ভাঁওতার মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু মানুষকে আমার বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছেন। সেটা করতেই পারে। আমি তো মামলা করি না। আমরা সওয়াল করি।”

কলকাতা: ছ’বছরের প্রতীক্ষার পর সবেমাত্র কাউন্সেলিং হয়েছিল। ১৪০৪ জন হবু শিক্ষক যখন চাকরি পাওয়ার একেবারে দোরগোড়ায়, তখনই মামলার কাঁটা। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দিকে তির ক্ষুব্ধ চাকরি প্রার্থীদের। গান্ধীমূর্তির নীচে বসা চাকরি প্রার্থীরাও বিকাশবাবুর বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। যদিও যাবতীয় অভিযোগ ওড়াচ্ছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা।

দীর্ঘ আন্দোলনের পর সুখবর আসে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষা বিষয়ক চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। কাউন্সেলিংয়ের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু হঠাৎই মোড় ঘুরে যায় এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার। আদালতে দায়ের হয় নতুন একটি মামলা। সেই মামলার জেরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায়। নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। কিন্তু কেন এই মামলা?

কারণ, সুপার নিউমেরারি পোস্ট বা অতিরিক্ত পদ। এই পদ তৈরি করে অপেক্ষমানদের চাকরির ব্যবস্থা করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার ১৪০৪ চাকরিপ্রার্থীর জন্য ১৬০০ পদ তৈরি করা হয়। এই নিউমেরারি পদে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে ওয়েটিং লিস্টের বাইরে থাকা এক পরীক্ষা মামলা দায়ের করেন। কমিশন আদালতকে জানিয়েছিল, অপেক্ষমানদের চাকরি দিতে এই পদ তৈরি করা হয়েছে।

যা নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, আইন ভেঙে এই নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিও মন্তব্য করেন, ছাত্ররা যাতে ভাল শিক্ষক পান, সেটাই লক্ষ্য। এই সওয়াল জবাবের পরই নিয়োগে ১৪ দিনের স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেয় আদালত। এই নির্দেশে কার্যত কপালে হাত পড়ে চাকরি প্রার্থীদের।

এতদিন যে বিকাশ ভট্টাচার্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে উদ্ধারকর্তা রূপে ছিলেন, সেই বিকাশবাবুর বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের কথায়, “আমাদের ক্ষোভ থাকাটাই তো স্বাভাবিক। যাঁরা এতদিন আমাদের জন্য আইনি লড়াই লড়লেন, আমাদের পাশে থাকলেন, আমাদের মঞ্চে গেলেন, কেন তাঁরা এমন আচরণ করছেন সেটাই তো বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে আইনের অপব্যবহার কিছু একটা করতে চাইছেন। এটা না করলেই ভাল হত।”

বৃহস্পতিবার চাকরি প্রার্থীরা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন যে সোজা আলিমুদ্দিনে সিপিএমের রাজ্য দফতরের সামনে পৌঁছে যান। শুক্রবার এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “মনে হচ্ছে রাজনীতির ঘুঁটি হচ্ছি।” যদিও চাকরিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওড়াচ্ছেন বিকাশবাবু। তাঁর বক্তব্য, “এটা আরও একটা দুর্নীতি। খুব বড় দুর্নীতি। সরকার এখানে এই ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের আবার ভাঁওতার মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু মানুষকে আমার বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছেন। সেটা করতেই পারে। আমি তো মামলা করি না। আমরা সওয়াল করি।”

Next Article