কলকাতা: দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (President Draupadi Murmu) নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির মন্তব্যের তীব্র সমালোচনায় বিজেপি। দিনভর বিক্ষোভ, প্রতিবাদে পথে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় চলছে আন্দোলন। এরইমধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানালেন, দল নারী শক্তির পক্ষে। কোনওভাবেই তাঁরা মন্ত্রী অখিল গিরির এই মন্তব্যের সমর্থন করেন না। তবে একইসঙ্গে এই ঘটনায় বিজেপির তীব্র নিন্দা করেন কুণাল। তুলে আনেন শুভেন্দু অধিকারী, সৌমিত্র খাঁয়ের প্রসঙ্গও।
কুণাল ঘোষ বলেন, “দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন তা তৃণমূল অনুমোদন করে না, নিন্দা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল দলের সর্বস্তরে মহিলাদের অধিকার, মহিলাদের সম্মান এবং মহিলা শক্তির ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। তাই তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন পদে আসীন সবথেকে বেশি মহিলা। দেশে এটা নজির।”
তবে বারবার অখিল গিরির মন্তব্যের নিন্দা করলেও এদিন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন , বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে যখন বিজেপি নেতৃত্ব অসম্মানজনক কথা বলেন, তখন নারীর সম্মানের কথা কি ভুলে যান বিজেপি নেতারা? এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁয়ের কথা তুলে কুণাল ঘোষ বলেন, “স্ত্রী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে সৌমিত্র খাঁ ডিভোর্সের কথা বলেছিলেন। রাজনীতির জন্য স্ত্রীকে এভাবে প্রকাশ্যে অসম্মান করতে পারেন যিনি, তাঁর মুখে নারী সম্মানের কথা মানায় না। বাড়িতে আগে সম্মান দিন। তারপর তো অন্য জায়গায় মুখ খুলবেন।”
বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের কথাও এ প্রসঙ্গে তুলে ধরেন কুণাল। তথাগত রায় বারবার বিজেপির একাধিক নেতার সঙ্গে ‘কামিনীকাঞ্চন’ যোগের দাবি করেছেন। কুণালের বক্তব্য, “এরা নারীর সম্মানের কথা বলবে? কামিনী সকলেই বোঝেন।”
এরপরই শুভেন্দুকে আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “শুভেন্দুর বাবার বয়সী লোক অখিল গিরি। বলছেন, কাকের মতো দেখতে। একজন বর্ষীয়ান লোককে লাগাতার প্ররোচনা দিয়ে গিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অখিল গিরির শব্দের আমরা নিন্দা করি। কিন্তু যাঁরা বিবেকের ভূমিকা পালন করেন, তাঁরা এটাও বলুন, ছেলের বয়সী শুভেন্দু অখিল গিরিকে বলছে কাকের মতো দেখতে।” কুণালের মতে, পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন অখিল গিরি। আর তা যে নিন্দনীয় তাও স্বীকার করেছে দল।