কলকাতা: একজন তৃণমূলের সাংসদ, অন্যজন বিজেপি নেতা। তবে দু’জনেরই প্রথম পরিচয় তাঁরা অভিনেতা। প্রথমজন দেব (Dev), দ্বিতীয়জন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakrabarty)। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে মিঠুন ও দেব অভিনীত ছবি ‘প্রজাপতি’ (Prajapati Movie)। শহরের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে রমরমিয়ে চলছেও সে ছবি। তবে বাদ পড়েছে নন্দন থেকে। প্রজাপতি শো পায়নি নন্দনে। যা নিয়ে তরজা গড়িয়েছে রাজনীতির পথ ধরে। বিজেপির বক্তব্য, মিঠুন থাকায় নন্দনে এ ছবিতে দেখানো হল না। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, মিঠুন চক্রবর্তীর অভিনয় ফ্লপ করেছে। তাই সেসব ঢাকতে সুকান্ত-দিলীপদের মাঠে নামতে হয়েছে। এদিনই সকালে ইকো পার্কে হাঁটতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন “যেন বাপের সম্পত্তি। রাজ্যের সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। বহুদিন পর একটা বাংলা ছবি করলেন। লোকে মুখিয়ে আছে। এতো সুন্দর হল (নন্দন), সেখানে শো দেওয়া হল না।’
দিলীপের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই কুণাল ঘোষ এদিন আরও চাছাছোলা হয়ে ওঠেন। এক ধাপ এগিয়ে কুণালকে বলতে শোনা যায়, “আমি তো শুনেছি, দেব বেচারা মুখে বলতে পারছে না। ওর তো মিঠুনদাকে নেওয়াটা একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। দেব বেচারা একটা সুন্দর ছবি করতে গেল, মিঠুনদার ফ্লপ অভিনয়! ওখানে যদি পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতেন ফাটাফাটি হয়ে যেত। ওই জায়গাটা একটু অসুবিধা হচ্ছে। ওকেও একটু বলতে হচ্ছে।”
শুধু এখানেই থামেননি কুণাল। বলেছেন, “মিঠুনদাকে ১০ গোল দিয়ে দিয়েছে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে এই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবিটা টানাবার জন্য হয়ত কোনও বিতর্ক তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। বলতে পারব না।” যদিও পাল্টা সজল ঘোষ আবার বলেন, “দেবও ওদের লোক, কুণাল ঘোষও আপাতত ওদের লোক। কিন্তু ওনার ভূমিকাটা মহাভারতে কার মত? উনি আসলে কার ধ্বংস চান, সেটা বুঝতে হবে। অতীতটা মনে করবেন। আমি এই দেব আর কুণাল ঘোষ সে পরাণকে নেবে না মিঠুনকে নেবে তা নিয়ে আমার মন্তব্যের কী দরকার।”