Kunal Ghosh on Dilip Ghosh: বিদ্যুৎসংযোগের জন্য দলিল দিয়েছিলাম, দিলীপের সাফাইয়ের মুখেও গ্রেফতারির দাবি নাছোড় তৃণমূলের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Nov 12, 2022 | 6:02 PM

Kunal Ghosh: কুণালের বক্তব্য, কেন দিলীপের দলিল প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে গেল? তিনি বলেন, "আমরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছি, সিজার লিস্টে তথ্য উঠে আসার পর তা গোপনের চেষ্টা হয়েছে।"

Kunal Ghosh on Dilip Ghosh: বিদ্যুৎসংযোগের জন্য দলিল দিয়েছিলাম, দিলীপের সাফাইয়ের মুখেও গ্রেফতারির দাবি নাছোড় তৃণমূলের
দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবি কুণাল ঘোষের।

Follow Us

কলকাতা: দিলীপ ঘোষের (BJP Leader Dilip Ghosh) গ্রেফতারির দাবিতে সরব তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদাররা বলেন, দিলীপ ঘোষের নামে জমির দলিল যখন সিবিআইয়ের সিজার লিস্টে আছে, তা হলে তাঁকে গ্রেফতার করেই তদন্তে এগোতে হবে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। জেলে রয়েছেন শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তিত্বও। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে। একটি দলিলে নাম রয়েছে দিলীপ ঘোষের।

এ বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “এটা আমার দলিল, আমার বাড়ির দলিল। ও যেখানে থাকে ওখানেই আমি ফ্ল্যাট কিনেছি। সেই দলিলের আসল কপি ব্যাঙ্কে জমা আছে, যেখান থেকে লোন নেওয়া হয়েছে। আরেকটা কপি বিদ্যুতের মিটারের নাম পরিবর্তন করার জন্য। এর জন্য জমির দলিল দিতে হয়। সেটাই ওকে দিই। ও যেহেতু ওখানে পরিচিত, ওখানে থাকে। সেইদিন তাঁর বাড়িতে রেইড হয়। ওটা নিয়ে গেছে। ওটা আমারই দলিল।”

কিন্তু তৃণমূল দিলীপের এই ‘স্বীকারোক্তি’তেই থেমে থাকতে নারাজ। এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্ন রায়, যাকে টাকা তোলার লিঙ্কম্যান বলা হচ্ছে, তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়ির দলিল পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই আদালতে এটা জমা দিয়েছে। কিন্তু প্রথমে সিবিআই এটা আদালতে জমা দেয়নি। গোপন করেছিল। পরে আরেকজন অভিযুক্তের আইনজীবী প্রশ্ন তোলে, সিজার লিস্ট কোথায়। তখন তড়িঘড়ি সেই সিজার লিস্ট জমা পড়ে।”

কুণালের প্রশ্ন, কেন দিলীপের দলিল প্রসন্ন রায়ের বাড়িতে গেল? তিনি বলেন, “আমরা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছি, সিজার লিস্টে তথ্য উঠে আসার পর তা গোপনের চেষ্টা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে দিলীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবি করছি। যদি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নিরপেক্ষ তদন্তের প্রশ্ন ওঠে তা হলে এটা করতেই হবে। আর উনি তো স্বীকারও করেছেন তিনি প্রসন্ন রায়কে চেনেন এবং এই বাড়ি জমিগত নানা টেকনিক্যাল ব্যাপারে তিনি প্রসন্নর সাহায্য় চেয়েছেন।”

কুণালের বক্তব্য, নিছক সন্দেহের বশে কথায় কথায় লোকজনকে নোটিস পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে এজেন্সি, গ্রেফতার করছে। তাহলে দিলীপ ঘোষকে কেন রেহাই দেওয়া হচ্ছে? কুণালের সংযোজন, সংবাদমাধ্যমে যে বিবৃতি দিলীপ ঘোষ দিচ্ছেন, তা তো জেলে থেকে রেকর্ড হওয়ার কথা। অবিজেপি নেতা হলে আগে গ্রেফতার আর সিজার লিস্টে তথ্য় থাকলেও বিজেপি নেতা বলে ছাড় দেওয়া হবে তা মানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র। ফের এদিন কুণাল বলেন, “সিবিআইকে তো বিজেপি চালাচ্ছে। এত বড় দুর্নীতির লিঙ্কম্যান বলা হচ্ছে প্রসন্নকে, অথচ তাঁর বাড়িতেই দিলীপ ঘোষের দলিল। দিলীপবাবু মুখে যাই বলুন, দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে এই তদন্ত করতে হবে। প্রসন্ন রায়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে হবে। ওই সম্পত্তি কার, কীভাবে দিলীপ ঘোষ কিনলেন, পুরোদস্তুর তদন্ত চাই। সিবিআইয়ের পর ইডিকে সেই তদন্ত করাতে হবে।” যদিও তৃণমূলের দাবিকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “চোরেরা তো সবাই তো চোরই ভাবে। গোটা পার্টিটাই ডাকাতদের। একবার সিআইডি দিয়েই তদন্ত করিয়ে নাও। সব মিটে যাবে। “

Next Article