
কলকাতা: ২৫ এপ্রিল থেকে তৃণমূলের ‘মেগা ক্যাম্পেন’ শুরু হচ্ছে। টানা ২ মাস কলকাতার বাইরে থাকবেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ নামে এই কর্মসূচি ঘিরে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা রাজ্যজুড়ে। শনিবার তৃণমূলের এই কর্মসূচি তোপ দাগেন সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেলিমের বক্তব্য, “এটা প্লট তৈরি করা হল। যাতে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের আইনজীবী বলতে পারেন হুজুর এখন উনি প্রচারে ব্যস্ত আছেন। দু’মাস আসবেন না।” সেলিমের এই মন্তব্যর পাল্টা তোপ দাগেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘সেলিম তো ভ্রাম্যমাণ পরাজিত’।
সম্প্রতি নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দুয়ারে সরকার, দিদির দূত যেমন চলছে, তেমনই তৃণমূলের সংযোগযাত্রা শুরু হবে। অভিষেক জেলায় জেলায় যাবেন। ছোট ছোট সভা করবেন। মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন। লোকজনের সমস্যার কথা শোনার পাশাপাশি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী হিসাবে কাকে সাধারণ মানুষ দেখতে চান, মতামত নিতে গোপন ব্যালটে ভোটেরও ব্যবস্থা করা হবে। এই কর্মসূচি ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হবে। এরপর আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি হয়ে দুই দিনাজপুর, মালদহ হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে।
এই কর্মসূচি নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করেন মহম্মদ সেলিম। এদিন মহম্মদ সেলিম বলেন, “আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। আমি জানি কেন মমতা অভিষেককে দিয়ে এই সব জনসংযোগ যাত্রা করাচ্ছেন। এটা প্লট তৈরি করা হল, সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের আইনজীবী যাতে বলার সুযোগ পান, হুজুর এখন উনি প্রচারে ব্যস্ত আছেন ২ মাস আসবেন না। কারণ মমতা জানেন সুপ্রিম কোর্টে হয়ত আর স্বস্তি হবে না। সুতরাং সিবিআই যাতে শান্তনু কুন্তলের সঙ্গে অভিষেককে মুখোমুখি না বসায় তার জন্য সময় চাওয়ার কৌশল।”
মহম্মদ সেলিমের এই বক্তব্যের পাল্টা কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, “মহম্মদ সেলিম ভ্রাম্যমাণ পরাজিত। উত্তর কলকাতায় হারেন, চলে যান রায়গঞ্জ। ঘুরে ঘুরে হারেন। অভিষেক ডায়মন্ড হারবারেই দাঁড়ান, জেতেনও। উনি রাজনৈতিক প্রচারে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে কুন্তল, শান্তনু আইনি বিষয়ের কী আছে? সেলিম সিপিআইএমের রাহুল সিনহা।”