কলকাতা: উঠেছিলেন তেঘরিয়া (Tegharia) থেকে। বাসে উঠেই একদম পিছনের আসনে চলে যান এক যুবক। বসেন জানালার ধারে। প্রথমে সবকিছু ঠিক ছিল। কিছুক্ষণ পর বাসের সহযাত্রীরা দেখলেন, কেমন যেন ঘামছেন ওই যুবক। তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে তার আগেই সব শেষ। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। রবিবার ঘটনাটি ভিআইপি রোডের বাগুইআটি এলাকায়। মৃতের নাম সুরজিৎ নন্দী। বছর ছাব্বিশের ওই যুবকের বাড়ি বাঙুর এভিনিউ সংলগ্ন দমদম পার্ক এলাকায়।
এদিন তেঘরিয়া থেকে বাসে চাপেন তিনি। দমদম পার্কে নামার কথা ছিল। বাসের কন্ডাক্টর জানিয়েছেন, তেঘরিয়া থেকে সুরজিৎ যখন বাসে ওঠেন, তখনও পর্যন্ত তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। বাসটি গন্তব্যের দিকে এগোতে শুরু করার পর সুরজিতের মধ্যে একটা অস্বাভাবিকতা দেখতে পান সহযাত্রীরা। সুরজিৎ ক্রমাগত ঘামতে শুরু করেছিলেন। তাঁর যেন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা তৈরি হচ্ছিল বলে দাবি করেন সহযাত্রীরা।
বাসটি জোড়া মন্দির স্টপেজে আসার পর সহযাত্রীরা খেয়াল করেন, সুরজিৎ বাসের সিট থেকে নীচে পড়ে গিয়েছেন। তখনও শ্বাস নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ২৬ বছর বয়সি ওই যুবক। বাস থামিয়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকে কন্ডাক্টর বিষয়টি জানান। জনা পাঁচেক সিভিক পুলিশ সুরজিৎকে বাস থেকে বের করে নিয়ে আসেন। নিয়ে যাওয়া হয় জোড়া মন্দির সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর একটু সময় বেশি পাওয়া গেলে, হয়ত ওই যুবককে বাঁচানো যেত। তবে কী কারণে সুরজিতের এমন পরিণতি হল, তা স্পষ্ট জানাতে পারেননি চিকিৎসকরা। বাগুইআটি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।