
কলকাতা: পুজোর আগে বাবার সঙ্গে দোকানের জিনিস কিনতে গিয়ে নিখোঁজ ৪২ বছরের যুবক। পরিবারের দাবি, মানসিকভাবে অসুস্থ ওই যুবক। বাবার সঙ্গে বেরিয়ে আচমকাই ৩০ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। বাগুইআটি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। কিন্তু এরপর ১১ দিন কেটে গেলেও এখনও কোনও খোঁজ নেই পিরাজ বিশ্বাস নামে ওই যুবকের। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বৃদ্ধ মা।
মা সুমিতা বিশ্বাসের কথায়, “ছেলে বলেছিল ঘরে অনেক নতুন প্যান্ট আছে। ভাই একটা গেঞ্জি কিনে দিয়েছে। বাবা জুতো কিনে দিয়েছে। সেই নতুন জামা প্যান্ট পরে আমরা সবাই মিলে ঠাকুর দেখতে যাব। ১১ দিন হয়ে গেল। আজও আমার ছেলেকে ফেরত পেলাম না।” বাগুইহাটি থানা এলাকার ঝিলবাগান স্বামীজি নগরের বিশ্বাস পরিবার এখন হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছে নিখোঁজ ছেলেকে।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাবার সঙ্গে জগৎপুর বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান পিরাজ। বাগুইআটি থানা খোঁজ করছে। একইসঙ্গে বাড়ির লোকজনও বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ছবি পোস্ট করেছেন ভাই।
মা সুমিতা বিশ্বাস বলেন, “ওর বাবা দোকানের জিনিসপত্র কিনতে ছেলেকে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। মালপত্র কিনে ছেলেকে বলেছেন, ভ্যানের কাছে দাঁড়াতে। ভ্যানচালককে বলেন, ছেলেটার দিকে একটু যেন নজর রাখে। এরইমধ্যে কখন ওই ভ্যান চালক ওর বাবার পিছনে চলে গিয়েছে। তারপর ভ্যানের কাছে এসে দেখে ছেলে নেই। ওর বাবা জিজ্ঞাসা করেছে ছেলে কোথায়? তখন ও বলছে বোধহয় বাড়ির দিকে চলে গেছে। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। ১১ দিন হয়ে গেল। থানায় জানিয়েছি। নিরুদ্দেশ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাস্তায় রাস্তায়, বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেলেও ছবি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও খবর আমি আর পাচ্ছি না।”
ভাই পঙ্কজ বিশ্বাসের কথায়, “বাবার সঙ্গে ৩০ তারিখ বাজারে যায়। দাদার একটু মানসিক সমস্যা আছে। ও সেভাবে গুছিয়ে কথাবার্তা বলতে পারে না। হঠাৎ দেখে ও নেই। সেই থেকে নিখোঁজ। ওর বয়স ৪২ হলে কী হবে ও একটা চার বছরের বাচ্চার মতো ছিল। ওকে নিয়ে যেতে হয় সঙ্গে করে। এক গ্লাস জল পর্যন্ত ও চেয়ে খেতে পারে না।”