Calcutta High Court: বিচারপতি মান্থার এজলাসে কর্মবিরতিকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
Calcutta High Court: মামলাকারীর দাবি, কর্মবিরতির জেরে মামলাকারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, মামলার দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আইনজীবীদের একাংশের কর্মবিরতি ও এজলাসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে চ্য়ালেঞ্জ করে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলা করেন বিজয় কুমার সিংহল নামে এক ব্যক্তি। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
অভিযোগ, গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের কিছু সদস্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (আদালতের কক্ষ নম্বর ১৩) এজলাসে কর্মবিরতির ডাক দেন। মামলাকারীর দাবি, যাঁরা এই কর্মবিরতির ডাক দেন, তাঁরা অনেক আইনজীবীকেই ১৩ নম্বর কোর্ট কক্ষে প্রবেশ করতে দেননি। আইনজীবীদের নিজ নিজ মামলার সওয়াল জবাবে হাজির হতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের।
মামলাকারীর দাবি, কর্মবিরতির জেরে মামলাকারীদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, মামলার দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক, আবেদন মামলাকারীর। বয়কটের পক্ষে থাকা আইনজীবীদের বিরুদ্ধে রুল ইস্যু করে আদালত ব্যবস্থা নিক, এমনও আর্জি জানান তিনি।
হাইকোর্টে বিভিন্ন মামলার এজলাস বদল হয়েছে সম্প্রতি। যে বিচারপতি এতদিন একটি মামলা শুনেছেন, এজলাস বদলের ফলে এখন সেই মামলা অন্য একজন বিচারপতি শুনবেন। বিচার্য বিষয় বদল হয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারও। তাঁর বিচার্য বিষয় বদল ঘিরেই প্রশ্ন তোলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের একাংশ।
তাঁরা অভিযোগ তোলেন, রাজ্যের বিরোধী দলের পক্ষে একাধিক রায় দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় হয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, না হলে ‘কড়া পদক্ষেপ নয়’, এমন নির্দেশ দিয়েছেন। তাই বার অ্যাসোসিয়েশনের ওই আইনজীবীরা দাবি তোলেন, বিচারপতি মান্থার এজলাস থেকে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার মামলা না সরানো হলে বয়কট করবেন এজলাস। সেই মতো এজলাস বয়কটও করেন। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে আইনজীবীদের একাংশ ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাতে সমস্যায় পড়েন মামলাকারীরাও। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এবার দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।